দেশে সংকট চলছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ এখনও পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনার পর বিশ্বে নতুন করে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আমরা একটা বিপদের মধ্যে আছি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করতে হয়। গ্যাসের সংকট তৈরি হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সাধারণ, নিম্ন ও স্বল্পবিত্ত মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমাদের নেত্রীর বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও স্থিতি অবস্থায় রয়েছে।
আইএমএফের প্রতিবেদন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা বিশ্ব দ্রুত মহামন্দার দিকে যাচ্ছে। ইউরোপসহ সব দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। পাকিস্তানে আধা বিলিয়ন ডলারে নেমেছে রিজার্ভ। সেখানে বাংলাদেশে রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মতো। এটা স্থিতিশীল কন্ডিশন। দেশে ৫ মাস আমদানি করার মতো রিজার্ভ আছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।
তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলারের বেশি, যেটি ২০২৬ সালে চার হাজারে ডলারে পৌঁছাবে। একজন নেতার জন্য পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন। তিনি বাংলাদেশের রূপকার।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। সেখানে সরকার সম্পর্কে নানা সমালোচনা, কথাবার্তা ওঠে। সোমালিয়ার মতো দেশে মানুষ মরছে। সেখানেও সরকার পতনের দাবি তোলে না। আমাদের দেশে নির্বাচনকে সামনে রেখে উদ্ভট দাবি তোলা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তান ছাড়া আর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই। কোথাও তত্ত্বাবধায়কের চর্চা নেই। গণতন্ত্র এত দিন ধরে চলছে আমাদের দেশে। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান। এটি বিকাশমান পর্যায়ে আছে এবং এই বিকাশমান গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে ভুলত্রুটি সংশোধন করতে পারবে। বিকাশের ধারায় গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম টানেল হয়েছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল যান চলাচলের জন্য আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এখানে কেউ ভাবতে পারেনি যে টানেল হবে। বর্তমানে কাজ প্রায় শেষ।
তিনি আরও বলেন, টানেলে যানবাহন প্রবেশের আগে স্ক্যান করা হবে। প্রতিটি যানবাহনকে স্ক্যান করতে সেখানে স্ক্যানার স্থাপন হবে। টানেলের নিরাপত্তায় এবং যাতে কোনো দুর্ঘটনা না হয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা সভাপতি এম এ সালাম, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।