বৈশ্বিকভাবে বেড়েই চলেছে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার। নিম্ন আয়ের, মধ্যম আয়ের ও ধনী দেশগুলোতেও থেমে নেই খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার। এ অবস্থায় বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমাতে ৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ছয়টি ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক।
২০ জানুয়ারি (শুক্রবার) দিবাগত রাতে সংস্থাটির ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর নিম্ন আয়ের এবং মধ্যম আয়ের দেশে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা গেছে। নিম্ন আয়ের দেশে ৯৪ দশমিক ১, মধ্যম আয়ের দেশে ৯২ দশমিক ৯ এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে ৮৯ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। উচ্চ খাদ্যমূল্যের কারণে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি উৎপাদন এবং দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কৃষিখাতের উন্নয়নকে শক্তিশালী করতে জর্ডানে ১২ দশমক ৫ কোটি ডলার ব্যয় করবে বিশ্বব্যাক। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বলিভিয়ায় ৩০ কোটি ডলার অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চাঁদ, ঘানা ও সিয়েরা লিওনে ৩১ দশমিক ৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে সংস্থাটি। মিশরে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫০ কোটি ডলার অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক।
সংস্থাটি আরও জানায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে তিউনিসিয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা হুমকিতে। এই সংকট মোকাবিলায় ১৩ কোটি ডলার অর্থায়ন করা হবে। পশ্চিম ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশসমূহে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। এ খাতে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, টেকসই উৎপাদন এবং খাদ্য উৎপাদনে নানা পলিসি নেওয়া হবে, যাতে করে এসব দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য রপ্তানি করে।