পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ খরচ করেছে সরকার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রত্যাশিত সহযোগিতা মিলছে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করে যাচ্ছি। তবে, নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের যে কোনো অপরাধমূলক কার্যক্রম শক্ত হাতে দমন করা হবে। আমরা দেখছি, রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনা করছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতা: অগ্রাধিকারমূলক সমস্যা ও উদ্বেগ’ শীর্ষক এক সংলাপে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বাংলাদেশের দ্বার উন্মুক্ত। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার জিরো লাইনের ক্যাম্পগুলো পুড়ে ছাই হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে সেটার অবমূল্যায়ন হচ্ছে।
বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আশা করবো। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে ঝুঁকি নিয়ে যেভাবে কাজ করছে সেটা তুলে ধরবেন।
তিনি বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ খরচ করছে। ২০২১ সালে আমরা ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছি। দাতা সংস্থাগুলো এর অর্ধেক সংগ্রহ করতে পারছে না। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চাই।