সরকারিভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে বিল পাস করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শরিয়াহ সম্মত খাত ব্যতীত অন্য কোনো খাতে জাকাতের অর্থ খরচ বা বিতরণ করা যাবে না।
২৫ জানুয়ারি (বুধবার) ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বিলটি পাসের জন্য জাতীয় সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনামলে করা আইন ‘জাকাত ফান্ড অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ বিলুপ্ত করে ‘জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা বিল ২০২৩’ পাস হয়।
বিলে বলা হয়েছে, এ আইনের অধীনে একটি জাকাত বোর্ড গঠন করা হবে। সরকার মনোনীত পাঁচজন ফকিহ বা আলেমসহ এ বোর্ড হবে ১৩ সদস্যের। ধর্মমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হবেন বোর্ডের চেয়ারম্যান। জাকাত সংগ্রহ, বিতরণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির ক্ষমতা বোর্ডের থাকবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জাকাত বোর্ডের অনুমোদনক্রমে স্থানীয়ভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণের জন্য কেন্দ্রীয়, সিটি করপোরেশন, বিভাগ, জেলা বা উপজেলাপর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন করা যাবে।
বিলে একটি জাকাত তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। দেশের মুসলিম জনগণের দেওয়া জাকাতের টাকা, প্রবাসী মুসলিম নাগরিক, কোনো বিদেশি মুসলিম ব্যক্তি বা সংস্থায় জমা হওয়া জাকাতের টাকা এবং শরিয়াহ সম্মত অন্য কোনো উৎস থেকে পাওয়া জাকাতের টাকা দিয়ে এ তহবিল গঠন করা হবে।