ঢাকার কলাবাগানের পান্থপথে হোটেল ওলিওসহ ৩টি ভবন সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে বানানো হয়েছে। অনুসন্ধানে বিষয়টি ধরা পড়ার পর শতকোটি টাকা মূল্যের এসব ভবন উচ্ছেদে নেমেছে জেলা প্রশাসন। এজন্য মালিক পক্ষকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভাড়াটেসহ বাসিন্দাদের সরে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উচ্ছেদের সময় জানিয়ে ওই ভবনগুলোতে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা জেলার মোহাম্মদপুর রাজস্ব সার্কেলের আওতাভুক্ত শুক্রাবাদ মৌজার বর্ণিত ৮ দশমিক ৭৪ শতাশ (০.০৮৭৪) এ জমি সরকারি সম্পত্তি। এতে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
বিজ্ঞপ্তি টাঙানোর সময় উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্বল কুমার হালদার, ধানমন্ডি সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শহিদুল ইসলাম এবং লালবাগ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ মো. মামুনুর রশিদ।
উজ্বল কুমার হালদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের খাসজমি চিহ্নিত করে উচ্ছেদের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহ পরে সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হোটেল ওলিওর মালিক ফিরোজ রহমান ওলিও। তিনি সরকারি জমির ওপর অবৈধভাবে ওই হোটেল বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া নিচ্ছেন। তার কাছে বৈধ কাগজপত্র চেয়েছিল জেলা প্রশাসন। তবে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
হোটেল ওলিওর পাশের ৭তলা ভবনটিও সরকারি জমি দখল করে বানানো। এটি বানিয়েছিলেন আবদুর রউফ ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি। ভবনের নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেওয়া। বাকি তলাগুলো আবাসিক বাসা হিসেবে ভাড়া দেওয়া।