পশ্চিমা ৯টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে তুরস্ক। পবিত্র কোরআন পোড়ানো; তুরস্কস্থ পশ্চিমা কয়েকটি দেশের দূতাবাস সাময়িক বন্ধ এবং নিরাপত্তা সতর্কতা জারির প্রতিবাদে তাদের তলব করে আঙ্কারা।
তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গত দুই সপ্তাহে সুইডেন, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পর পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের যোগদানের বিষয়ে আপত্তি তুলে নেওয়ার আলোচনা স্থগিত করে তুরস্ক।
গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। সামরিক এ জোটে নতুন সদস্য হতে হলে ন্যাটোভুক্ত সব দেশের সম্মতির প্রয়োজন হয়। তবে আবেদনের পর তুরস্কের বাধার মুখে পড়ে দেশ দুটি। পরে অবশ্য তুরস্ক এ ব্যাপারে আলোচনায় বসতে রাজি হয়। কিন্তু কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ আঙ্কারা এখন ওই আলোচনা স্থগিত করে।
ইউরোপীয় বেশকিছু দেশও কোরআন পোড়ানোর ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তবে কোনো কোনো দেশের সরকার বলছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বাধ্যবাধকতা থাকায় তারা উগ্র-ডানপন্থীদের এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
গত সপ্তাহে তুরস্কে অবস্থানরত নাগরিকদের হামলার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্কতা জারি করে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে কূটনৈতিক মিশন ও অমুসলিম উপাসনালয়ে। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে নিরাপত্তাজনিত কারণে তুরস্কে কূটনৈতিক মিশন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে জার্মানি, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ড।
তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু এক টুইটবার্তা বলেন, দূতাবাসগুলো তুরস্কের বিরুদ্ধে ‘নতুন মনস্তাত্ত্বিক তোপ দাগা’ শুরু করেছে।