বাংলাদেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে, তা পর্যবেক্ষণ করবে উন্নয়ন সহযোগী ৯টি দেশ। ঢাকায় নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকেরা এ নিয়ে নিয়মিত পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। আজ বৃহস্পতিবার দেশগুলোর প্রতিনিধিদের এক সমন্বয় সভা থেকে এ ঘোষণা আসে।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন (এমএফসি) নামে একটি বৈশ্বিক জোটের সদস্য ওই ৯ দেশের কূটনীতিকেরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আজ আলোচনায় বসেছিলেন। মার্কিন দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত হেলেন লা-ফেইভ ঢাকায় এমএফসির কূটনৈতিক নেটওয়ার্ক উদ্যোগ চালু করার জন্য এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সমর্থন করার জন্য উপস্থিত প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান।
নাগরিক সমাজের সদস্য ও সাংবাদিকেরা উদ্বোধনী বৈঠকে উপস্থিত হয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসম্পর্কিত তাদের কাজের বর্ণনা দেন। উপস্থিত প্রতিনিধিরা গণমাধ্যমের বর্তমান পরিস্থিতি, অনলাইন নিউজ পোর্টালের সেন্সরিং এবং সাংবাদিকদের হয়রানি ও ভয় দেখানোর সাম্প্রতিক ঘটনাসহ বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসম্পর্কিত বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা করেন।
দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমএফসি বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করার জন্য গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ, সরকার এবং অন্য অংশীজনদের সঙ্গে এখন থেকে বিষয়গুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটি একটি আন্ত–আঞ্চলিক অংশীদারত্ব, যা অনলাইন ও অফলাইনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সমর্থনে একসঙ্গে কাজ করে। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তাকে সমর্থন করে এবং যারা সাংবাদিকদের ক্ষতি করে তথা গণমাধ্যমের কাজকে কঠোরভাবে সংকুচিত করার অপচেষ্টা চালান, তদের জবাবদিহি নিশ্চিতে কাজ করে।
ডিপ্লোম্যাটিক নেটওয়ার্ক ইনিশিয়েটিভ সারাবিশ্বের সদস্যদের নিয়ে গঠিত। এমএফসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কূটনৈতিক মিশন যেসব দেশে রয়েছে, সেখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা ও অগ্রসর করার জন্য বিভিন্ন সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম। এমএফসি ২০১৯ সালের জুলাইয়ে গ্লোবাল কনফারেন্স ফর মিডিয়া ফ্রিডমে প্রতিষ্ঠিত হয়। ছয়টি মহাদেশের ৫০টির বেশি দেশ ওই কোয়ালিশনের সঙ্গে রয়েছে।