দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নামে গতকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি) গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গেজেটে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৭নং আইন) এর ধারা ৭ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধিমালা, ১৯৯১ এর বিধি ১২ এর উপ-বিধি (৬) অনুসারে নির্বাচনী কর্তা ও নির্বাচন কমিশনার এর ঘোষণা মোতাবেক মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন রাষ্ট্রপতিকে মত ও পথ পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা, বৃহত্তর পাবনা জেলা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি এবং জেলা যুবলীগের প্রাক্তন সভাপতি, পরবর্তী সময়ে একজন বিচারক হিসেবে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরোচিত হামলার (হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন) তদন্তে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাঁর নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করে।
২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি একজন বরেণ্য লেখকও বটে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ১৯৬৯ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে পরিচিত। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে, বিশেষ করে ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদে ‘জনতার মঞ্চ’ গঠনে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মতো একজন বহুমাত্রিক প্রভিভার অধিকারী সজ্জন এবং মুজিবাদর্শে বিশ্বাসী মানুষ দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়াতে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষেরা আনন্দে উদ্বেলিত। আমাদের প্রত্যাশা, একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে রাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে তিনি অতীতের ন্যায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবেন। আমরা তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ আয়ু কামনা করছি।