শিশুদের সঠিকভাবে গড়ে তুললে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন সফলতা পাবে: মোকতাদির চৌধুরী

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, শিশুরা আগামী দিনের ভবিষৎ। তাদের সঠিকভাবে গড়ে তুললে মুক্তিযুদ্ধের অর্জন সফলতা পাবে।

১৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্পাসে খেলাঘর আসরের চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের তৃতীয় দিনের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশকে কীভাবে গড়ে তুলতে হবে তা শিশুদের বোঝাতে হবে। এতে সফল হলে আমাদের আর অন্যকিছু করতে হবে না। তারা যদি বুঝতে পারে একটি গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও শোষণহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা দরকার, তাহলেই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের অর্জন সফলতা লাভ করবে।

অনুষ্ঠানে শিশুদের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আড়াই লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারা হয়েছেন, তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যিনি এই দেশকে সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং আমাদের জাগিয়েছিলেন তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, আর যদি ২০ বছর পঁচাত্তরের হত্যাকারীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতো, তাহলে জয় বাংলা শ্লোগান যেমন আমরা ভুলে গেছি, বঙ্গবন্ধুর কথাও তেমনিভাবে আমরা ভুলে যেতাম।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের পরে আমরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ মিছিল বের করি, আমাদেরকে অনেকেই পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন যে, জয় বাংলা শ্লোগানটা আপনারা দিয়েন না। আমরা তখন বলতাম, জয় বাংলা হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান। এটার সঙ্গে আমাদের অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, জয় বাংলা শ্লোগানকে পাশ কাটিয়ে যে দেশপ্রেম, সেটি দেশপ্রেম কিনা আমি জানি না। যে শ্লোগানটাকে ভিত্তি করে রক্ত দিলো লক্ষ লক্ষ মানুষ, যে শ্লোগানকে ধারণ করে অস্ত্র নিয়ে আমি লড়াই করলাম; সেই শ্লোগান যখন দেশের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তখন আমি পরিত্যাগ করলাম! এটি তো কোনো দেশপ্রেমের ব্যাপার হতে পারে না।

সভায় খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ইমাম হোসনে ঠান্ডু, শফিকুর রহমান শফিক, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুনীল কুমার মিন্টুসহ খেলাঘর আসরের বিভিন্ন কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা।

শেয়ার করুন