‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ’ বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তাদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। এই অপশক্তি, অগ্নি সন্ত্রাসীদের রুখতে হবে।’
অমর শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতুভাষা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটি সারা দুনিয়ার ৩৫ কোটি বাংলা ভাষা-ভাষীর এক অহংকারের দিন। বিশেষ করে, বাঙালি জাতির জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি গর্বের দিন। আজকে আমাদের সবচেয়ে বড় অহংকার, পৃথিবীর সব দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। অথচ প্রায় ৩০ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মায়ের ভাষা, মাতৃভাষা। এই ভাষা জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি আজ পর্যন্ত পায়নি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো একদলীয় শাসন কায়েম করেনি করেছে বিএনপি। ’৭৫ এ কৃষক, শ্রমিক নিয়ে আওয়ামী লীগ যে দল গঠন করেছিল, সেটা একদলীয় নয়। এটা ছিল জাতীয় দল। সব দলের সমন্বয়ে ওটা ছিল জাতীয় দল।
ওবায়দুল কাদের তিনি ‘আবারও বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে’ দিয়ে বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বাকশালের চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দরখাস্ত করে সেদিন যোগ দিয়েছিলেন। যেই দলে জিয়াউর রহমান দরখাস্ত করে যোগ দিয়েছিল, সেই দলকে কট্টাক্ষ করার কোনও অধিকার বিএনপির নেই।
শ্রদ্ধা নিবেদন করার সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজি, তারানা হালিম প্রমুখ।
এর আগে সোমবার দিনগত রাতে প্রথম প্রহরে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও শহীদ দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘একুশের চেতনা হোক স্বাধীনতা বিরোধীদের বিপক্ষে লড়াইয়ের প্রেরণা।’