বগুড়ায় দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে চালকসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বগুড়ার দ্বিতীয় বাইপাসের শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের নাম–পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নশিপুর কদমতলী গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হযরত আলী (৩৫), ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী বাদশা (৬০) এবং অটোরিকশার যাত্রী গাবতলী উপজেলার কোলাকোপা গ্রামের শাহানা বেগম (৩৫)। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক ও ১০ বছরের শিশুর নাম–পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই বাসের চালক-সহকারী পালিয়েছেন। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে বাসটি পুড়ে যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বগুড়া শহর থেকে যাত্রীবাহী অটোরিকশাটি গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী বাজারে যাচ্ছিল। অন্যদিকে গাইবান্ধা থেকে স্বদেশ ট্রাভেলসের একটি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। অটোরিকশাটি বগুড়া শহরের দ্বিতীয় বাইপাস সড়কে সুজাবাদে গিয়ে বাগবাড়ী সড়কে ওঠার জন্য রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় স্বদেশ ট্রাভেলসের বাসের সঙ্গে অটোরিকশাটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তিনজনের লাশ উদ্ধার করেন এবং আহত ১০ বছরের কন্যাশিশুকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে শিশুটি মারা যায়। এ ছাড়া অটোরিকশাচালক হযরত আলীর লাশ আগেই পরিবারের লোকজন বাড়িতে নিয়ে যান।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কাদের বলেন, দ্বিতীয় বাইপাস সড়কে বাস–অটোরিকশার সংঘর্ষে চালকসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তবে সবার নাম–পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।