গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব তার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে শামীমা আদালতে উপস্থিত হননি। আদালত দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য হয়েছে।
এর আগে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কম মূল্যে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজারমূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। পরবর্তী সময়ে তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। আরেকটি আইডি বন্ধুর নামে খুলে ২৩ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। তিনি দুই আইডি দিয়ে সর্বমোট ২৮ লক্ষাধিক টাকার অর্ডার করেন বিকাশ/নগদ ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেন। তার অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তা বুঝে পাননি। এ ব্যাপারে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা সারা দেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কম মূল্যে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।