পঞ্চগড়ে সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, লুটপাটের ঘটনায় মোট ১০টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এসব মামলায় প্রায় ১০ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত আছে। আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী টহল বজায় রেখেছে। মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে।
এর মধ্যে সদর থানায় আটটি ও বোদা থানায় দুটি মামলা হয়েছে। আটটি মামলার বাদী হয়েছে পুলিশ।
গত শুক্র থেকে রোববার তিন দিনব্যাপী আহমদিয়া সম্প্রদায় সালানা জলসার আয়োজন করে। এ জলসা বন্ধ ও আহমদিয়াদের ‘অমুসলিম’ ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে পঞ্চগড় শহরে মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন উগ্রপন্থীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরে বড় মিছিল হয়। এ সময় মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ট্রাফিক পুলিশের স্টেশন, পঞ্চগড় বাজার মার্কেটে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের দোকানপাট ভাঙচুর এবং বিকেলে আহমদিয়াদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় শহরের মসজিদ পাড়া মহল্লার ফরমান আলীর ছেলে আরিফুর রহমান এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জাহিদ হাসান নিহত হন বলে পুলিশ জানায়।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে দুজনকে আহমদিয়ারা গলা কেটে হত্যা করেছে, দুষ্কৃতকারীরা এমন গুজব ছড়ায়। দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নিজেরা লাশ দেখে এসেছেন জানিয়ে লোকজনকে উত্তেজিত করে তোলে। এ নিয়ে ফের পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা। এ সময় দুটি দোকান ভাঙচুর করে মালামাল লুটপাট এবং একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়া হয়।