বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে ১৯৭১-এর ৭ মার্চে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি এক ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে অনন্তকাল বাংলাদেশকে পথ দেখাবে। এই ভাষণটি বঙ্গবন্ধু যে প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতিতে দেন এবং তাঁর যে ভঙ্গি, কথা ও ফল—সব কিছু বিশ্ব ইতিহাসে বিরল এক ঘটনা। বিশ্বনেতাদের ৪১টি শ্রেষ্ঠ ভাষণ নিয়ে জ্যাকব এফ ফিল্ড যে বইটি রচনা করেছেন তার একটি কপি আমি এবার আমেরিকা থেকে কিনে এনেছি। ৪১টি ভাষণের মধ্যে প্রাচীন যুগের জেনারেল আলেকজান্ডার, হ্যানিবল থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের অটোভ্যান বিসমার্ক, আব্রাহাম লিংকন, উইনস্টন চার্চিল, স্তালিন, মাও জেদং ও হো চি মিনসহ বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি আছে। বইটিতে সম্পূর্ণ ভাষণ নয়, প্রতিটি ভাষণের চুম্বক অংশ ও শব্দসমূহ বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে এবং তার সঙ্গে জ্যাকব নিজের কিছু ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন। জ্যাকব তাঁর লেখাটিতে ৭ই মার্চের ভাষণে সবচেয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এই কথাগুলোর ওপর। এর মধ্যে আবার ‘মুক্তি’ শব্দটিকে আরো গুরুত্বসহকারে এনেছেন। এতে জ্যাকব বলার চেষ্টা করেছেন, শুধু স্বাধীনতা অর্জনই বঙ্গবন্ধুর চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল না, চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি অর্জনের সোপান। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের ৫২ বছরের মাথায় এসে আমরা কি বলতে পারছি, বাংলাদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্ক্ষিত মুক্তি অর্জন করতে পেরেছে? এ প্রশ্নের উত্তর এবং তার সঙ্গে এর বিচার-বিশ্লেষণ ও উপলব্ধি অর্জন করা আজকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও রাজনীতির জন্য সবচেয়ে বড় জরুরি বিষয়।
শিকড় কেটে গাছের মাথায় পানি দিলে তাতে গাছ বাঁচে না। অথচ পঁচাত্তরের পরে ক্ষমতায় আসা সামরিক শাসকচক্র ও তাদের উত্তরসূরিরা এই কাজটি করেছেন। তাঁরা বাঙালি জাতির শিকড় বাঙালি সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশের শিকড় পাকিস্তানের শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস—সব কিছুকে কেটে ফেলে দেশের জন্য মায়াকান্না করেছেন। এই পক্ষ এখনো বড় শক্তি নিয়ে রাজনীতিতে বহাল এবং বহু রকম অজুহাতকে অবলম্বন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। তাই আজকে তাদের সঠিকভাবে চেনা এবং তাদের মায়াকান্নার স্বরূপ উন্মোচন করা অতীব প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এই পবিত্র কাজটি করার জন্য যে রকম রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রয়োজন তার বড় অভাব আজ। বিগত বছরগুলোতে নানা রঙের, নানা অভিধায়, বহু নামের অসংখ্য সংগঠনের জন্ম হয়েছে। তাদের কার্যক্রমের দ্বারা ফলপ্রসূ কিছু যদি হতো, তাহলে বাংলাদেশ আজ ধর্মান্ধ উগ্রবাদীদের কবলে পড়ত না, নতুন করে হুমকি শুনতে হতো না যে বাহাত্তরের সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে আমি এটিও বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর নামে যত সংগঠন আছে, তাদের কার্যক্রম যদি সত্যিকারার্থে কার্যকর হতো, তাহলে আজকে বাংলাদেশকে যে সংকটটি একেবারে চেপে ধরেছে, সেই রোহিঙ্গা সংকটও এত জটিল হতে পারত না।
কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না, কিন্তু শত শত সংগঠন আজ মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে নিজেদের অর্থ-সম্পদ ও পদ-পদবির ভাগ্য গড়ে চলেছেন ঠিকই। কে বা কারা তাদের সঠিক জায়গায় আনবেন জানা নেই। ব্যক্তি প্রাপ্তির জায়গায় এসে সব কিছু বিলীন হয়ে যায়। রাষ্ট্র ও সমাজের প্রাণ, কোনো ইস্যুতেই যুক্তি, তর্ক-বিতর্কের স্থান নেই। মগজি শক্তির সঠিক ও সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য বুদ্ধিমত্তার চর্চা নেই। সবাই দৈবশক্তির মতো একতরফা কথা বলেন।
আবার ৭ই মার্চের ভাষণের কথায় আসি। সেই ষাটের দশকের শুরু থেকে, বিশেষ করে ছয় দফা প্রণয়নের পর থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পথে ধাপে ধাপে বাংলাদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধু একাত্তরের মার্চে নিয়ে এসেছেন। মানুষ আর পেছনে তাকাতে চায় না। তাই চূড়ান্ত পর্বের প্রায় শেষ প্রান্তে এসে একাত্তরের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন। এত দিন যাদের প্রস্তুত করেছেন, সেই বাঙালিরা আজ হাজারে হাজারে নয়, লাখে লাখে ঢাকার রেসকোর্সে লাঠি নিয়ে হাজির হয়েছে। তারা এবার স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে চায়। মঞ্চে উঠে সমবেত লাখ লাখ মানুষের দিকে একনজর ভালো করে তাকিয়ে সব বুঝতে পেরে বঙ্গবন্ধু শুরু করলেন, ‘ভায়েরা আমার, আপনারা সব জানেন ও বোঝেন।’ পিন পতন নীরবতা। বঙ্গবন্ধু জানতেন সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণার মুহূর্ত তখনো আসেনি। রেসকোর্সের অদূরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বড় বড় কামান আর যুদ্ধবিমান নিয়ে প্রস্তুত। সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে। রক্তের গঙ্গা বয়ে যাবে, কিন্তু স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হবে না। তখনো রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য আলাপ-আলোচনা চলছে। এ অবস্থায় সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে ভারত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেভাবে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছে, তা সম্ভব হতো না। বিশ্বের জনমত আমাদের বিপক্ষে চলে যেত। এমনকি তখন বাংলাদেশে অবস্থিত বেঙ্গল রেজিমেন্টের কর্মকর্তা ও সৈনিকরাও দ্বিধায় পড়ে যেতেন। তাই বঙ্গবন্ধুর হৃদয় থেকে বেরিয়ে আসছে সেই অমর বাণী, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এতে সব কুল রক্ষা হলো।
রমনায় আগত মানুষ ঠিকই সব কিছু বুঝে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিল। অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সুনির্দিষ্ট অজুহাত না পেয়ে নীরব থাকতে বাধ্য হলো। এমন কথাগুলো সেদিন বঙ্গবন্ধুর মুখ থেকে কী করে বের হলো তার কিছুটা কারণ খুঁজে পাওয়া যায় শরত্চন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসের ভেতর। ইন্দ্র চরিত্র বর্ণনায় শ্রীকান্তের জবানিতে শরত্চন্দ্র বলেছেন, ‘পরদুঃখে ব্যথা পাইয়া চোখের জল ফেলা সহজ নহে, তাহা অস্বীকার করি না; কিন্তু তাই বলিয়া সেই দুঃখের মধ্যে নিজের দুই হাত বাড়াইয়া আপনাকে জড়িত করিতে যাওয়া—সে ঢের বেশি কঠিন কাজ।’ সারা জীবন এই ঢের বেশি কঠিন কাজটি করতে পেরেছেন বলেই সেদিন রেসকোর্স মাঠে বঙ্গবন্ধুর হৃদয় থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ওই কথাগুলো বের হয়ে এসেছে। পুরো ভাষণে তিনি ধাপে ধাপে শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রাষ্ট্র, রাজনীতি, কূটনীতিসহ সমরনীতির সব কিছু মাত্র সাড়ে ১৮ মিনিটের ভাষণে যেভাবে বলে গেছেন, তাতে কারো মনে হতে পারে এটি বোধ হয় ডজনখানেক পণ্ডিত ব্যক্তির সুসমন্বিত লিখিত ভাষণ। কিন্তু সবাই জানেন, এটি কোনো লিখিত ভাষণ ছিল না। লাখ লাখ মানুষের দিকে তাকিয়ে হৃদয় থেকে যেটিই এসেছে, সেটিই তিনি বলেছেন। সুতরাং এই ভাষণের জুড়ি পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই।
কিন্তু আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছরের মাথায় এসে বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের লক্ষ্য, যেটি তিনি ৭ই মার্চের ভাষণেও বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের সেই মুক্তি অর্জনের কী হলো, সেই লক্ষ্যের কোন পর্যায়ে আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি। এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই হওয়া উচিত আজকে ৭ই মার্চ পালনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি এবং যারা বাহাত্তরের সংবিধানকে ছুড়ে ফেলতে চায়, সেই রাজনীতি বহাল থাকতে বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত মুক্তির লক্ষ্য কোনো দিন অর্জিত হবে না। বাংলাদেশের মানুষকে আজ বুকে হাত দিয়ে ভাবতে হবে, তারা কি সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। বঙ্গবন্ধু বাহাত্তরের সংবিধানে লিখে দিলেন, রাষ্ট্রের লক্ষ্য হবে জাতীয় মুক্তি। দুটি অক্ষরের শব্দ মুক্তি, কিন্তু এর ক্যানভাস অনেক অনেক বড়, বিশাল। এর মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, চিন্তার জগৎ ও মনোজগতের মুক্তির সঙ্গে সব ধরনের বৈষম্য থেকে মুক্তির বিষয়গুলোই প্রথম সারিতে আসে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, পঁচাত্তরের জাতীয় ট্র্যাজেডির পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসে সামরিক আদেশ দ্বারা সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যটি বাতিল করে দিলেন। একই সঙ্গে প্রস্তাবনা থেকে সংগ্রাম শব্দটিও বাদ দিলেন। এর মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে লক্ষ্যহীন এক রাষ্ট্রে পরিণত করলেন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য মুছে ফেলে দিলেন, পাকিস্তানের অপকর্মের সব খতিয়ানও একই সঙ্গে মুছে গেল। এতে পাকিস্তানিরা নিশ্চয়ই খুশি হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে যাঁরা নিজেদের বাঙালি ও বাংলাদেশের মানুষ মনে করেন, তাঁরা কি এতে খুশি হতে পারেন?
শুধু প্রস্তাবনা সংশোধন করেই জিয়াউর রহমান থামেননি। তিনি সব রকম প্রচলিত বিধি-বিধান, পদ্ধতি অর্থাৎ ডিউ প্রসেসকে উপেক্ষা করে সামরিক আদেশ দ্বারা বাহাত্তরের সংবিধান থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, দর্শন ও মূল্যবোধ বলতে যা কিছু বোঝায় তার সব শব্দ, বাক্য ও অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেন। সেই পথ ধরে বাংলাদেশ হুবহু আরেকটি পাকিস্তানি মানসতন্ত্রের রাষ্ট্র হয়ে যায়। জিয়ার পর এরশাদ এবং পরবর্তী সময়ে নব্য বিএনপি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে পরিপূর্ণভাবে পাকিস্তানি আদলের রাষ্ট্র বানাতে সব চেষ্টা করেছে। এতে বিশ্বের বড় বড় গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ও পণ্ডিত ব্যক্তি শঙ্কিত হয়ে বলেছেন, পরবর্তী আফগানিস্তান হবে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তান-আফগানিস্তান হওয়ার যাত্রাপথ থেকে বাংলাদেশের লাগাম টেনে ধরেছেন। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর স্থিরকৃত রাষ্ট্রের লক্ষ্য আবার পুনঃস্থাপন করেছেন। একটানা ১৪-১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে যা করেছেন এর ফলেই আজকে পাকিস্তানের যে ডুবন্ত দশা তার থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। কিন্তু ১৯৭৫ থেকে দীর্ঘ সময় রাষ্ট্র পাকিস্তানি মানসতন্ত্রে চলায় সর্বত্র মানুষের মনোজগতের ভেতর বিশাল স্তূপের মতো যে জঞ্জাল জমা হয়ে আছে তার কিছুই এখনো পরিষ্কার হয়নি। সুতরাং সংগ্রাম অব্যাহত রাখা জরুরি এবং সেটি করতে পারলেই কেবল ৭ই মার্চ পালন সার্থক হবে।
আওয়ামী লীগ টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় সরকারের বিরুদ্ধে অনেক রকম অভিযোগ থাকা অস্বাভাবিক নয়। আসলে অভিযোগ আছে। কেউ সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। তাই বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চয়ই তুলনামূলক চিত্রটি বিবেচনায় নেবে। বিএনপি কি আওয়ামী লীগের বিকল্প হতে পারে? এই সময়ে রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প কে? বাংলাদেশের মানুষ ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠে যদি নির্মোহ দৃষ্টিতে বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারেন, তাহলে উপরোক্ত প্রশ্ন দুটির সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন। তবে এটি অনস্বীকার্য যে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন থেকে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সব স্তরে বড় ধরনের বিচ্যুতি ও পদস্খলন ঘটেছে। মুখে বঙ্গবন্ধু, কিন্তু কাজে ও অন্তরে টাকাতন্ত্র, ভাইতন্ত্র, এমপিতন্ত্রে বিভোর থাকায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ মানুষ আজ বড়ই দ্বিধাগ্রস্ত। তাঁদের মনেও আজ অনেক প্রশ্ন। অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতা-এমপিরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিবেদিত মানুষকে দূরে রেখে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ও পাকিস্তানিদের সহযোগী পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে গোষ্ঠীতন্ত্র তৈরি করেছেন। তাঁরা ঘরের শত্রু। এর সঙ্গে পঁচাত্তরের মতো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত তো অব্যাহত আছেই। সুতরাং আজকে ৭ই মার্চের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত, ব্যাক টু বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে বঙ্গবন্ধুর কাছে ফিরতে হবে।
লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
Sikder52gmail.com