ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের যে চুক্তি হয়েছে তাকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন-ইসরাইলি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মারাত্মক আঘাত বলে মন্তব্য করেছে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ।
শনিবার (মার্চ) হিজবুল্লাহর উপমহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে চার দিন ধরে আলোচনা শেষে সম্প্রতি তেহরান ও রিয়াদ নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন এবং পরস্পরের দেশে রাষ্ট্রদূত পাঠাতে সম্মত হয়।
আরবি ভাষায় দেওয়া পোস্টে নাঈম কাসেম আরও লিখেছেন, ইরান-সৌদি সম্পর্ক পুনঃস্থাপন মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও অগ্রগতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট। সেই সঙ্গে ইরান ও সৌদি নাগরিকদের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের জনগণও এই সম্পর্ক থেকে উপকৃত হবে।
২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে সৌদি আরবের প্রখ্যাত শিয়া আলেম শেখ নিমর বাকির আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে রিয়াদ। এ ঘটনায় ইরানের সাধারণ জনগণ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় এবং উত্তেজিত জনতা তেহরানস্থ সৌদি দূতাবাস ও মাশহাদ শহরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে হামলা চালায়।
ওই ঘটনার জের ধরে সৌদি আরব তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ইরাকের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে পাঁচ দফা বৈঠক হলেও তা থেকে সুনির্দিষ্ট ফল বের হয়ে আসেনি। শেষ পর্যন্ত চীনের মধ্যস্থতায় হঠাৎ করেই তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওয়াশিংটনকে পাশ কাটিয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনা ছিল মধ্যপ্রাচ্যে নিজের স্থায়ী প্রভাব ধরে রাখার স্বপ্নদ্রষ্টা ও সৌদি আরবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকার জন্য একটি মারাত্মক চপেটাঘাত।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, পার্সটুডে