শিগগিরই পাশ হবে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাহিদ মালেক
ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন নিয়ে অসংখ্যবার আলোচনা হয়েছে। বেশি আলোচনা হয়েছে বলেই আইনটি পিছিয়ে আছে। আগামী সংসদ অধিবেশনে আইনটি উত্থাপন করা হবে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আইনটি পাশ হবে।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত ‘রোগীর সেবা নিশ্চিতে চাই স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপদ কর্মস্থল’—শীর্ষক সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে। নৃশংসতা ঘটে। অনেক সময় ভুল চিকিৎসা ও বিলম্বে চিকিৎসাও হয়। হাসপাতালে একটা কাউন্সিলিং টিম থাকা দরকার। চিকিৎসক ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে হামলা কমিয়ে আনতে ডাক্তার ও রোগীর কাউন্সিলিং দরকার। সরকারি হাসপাতালে ইমার্জেন্সি সেবাকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। যাতে করে খুব সহজেই জরুরি রোগীকে সামলাতে পারে। হাসপাতালের সিকিউরিটি বাড়ানোর বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি।

মন্ত্রী বলেন, আমরা যে সেবা দিচ্ছি লোকে যেন আস্থা রাখতে পারে, এমনভাবে কাজ করতে হবে, যাতে রোগীরা খুশি হয়। এমন আচরণ করা যাবে না, যাতে অসন্তুষ্ট হয়ে রোগীরা বিদেশে চলে যায়। সরকারিভাবে কিছু আইন কানুন আছে। সেগুলো রোগী, তার স্বজন ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সবাইকে মেনে চলতে হবে। রোগী ও চিকিৎসক অপরাধ যেই করে তার বিচার যেন দ্রুত হয়।

বাংলাদেশ ক্রিকেট কাউন্সিলের (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন বলেন, আমার মনে হয় চিকিৎসকরা নিরাপত্তার বিষয়ে খুবই উদাসীন। মিস কমিউনিকেশন ও মিস ইনফরমেশন থেকে ভাঙচুর ঘটে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, চিকিৎসকরা আমাদের সম্পদ। তাদের ওপর হামলা বন্ধে সবার আগে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে ভুল চিকিৎসা কিংবা চিকিৎসককের অবহেলাও কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে আমাদের আরও আন্তরিক হতে হবে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান বলেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের বেশি জোর দিতে হবে। চিকিৎসক সমাজ কোনো ক্রিমিনাল নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ রোগীর ক্ষতি করে না।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, রোগী ও চিকিৎসকদের মুখোমুখি দাঁড় করানো যাবে না। রোগীর জন্য চিকিৎসক। রোগীকে সবসময় গুরুত্ব দিতে হবে। ভালো আচরণ করতে হবে। কাউন্সিলিংয়ে আমাদের জোর দিতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহবুব বলেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে একটা আদর্শ টাকার বরাদ্দ ছাড়া পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া কঠিন। বেসরকারি হাসপাতালে অদক্ষ চিকিৎসক দিয়ে যেন চিকিৎসা প্রদান করা না হয়। সেই সঙ্গে যেন রোগীও তার রোগের ইতিহাস গোপন না করেন। তাহলে রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি কমে আসবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সবার আগে চিকিৎসক ও সেবা প্রদানকারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা দরকার। স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনকে আরও বর্ধিত এবং পুনর্বিন্যাস করে সংসদে পাশ বরে দ্রুত বাস্তবায়ন দরকার।

শেয়ার করুন