টানা দুদিন দুটো দমবন্ধ করা ম্যাচ উপভোগ করলেন আইপিএলপ্রেমীরা। আগের দিন রিঙ্কু সিংয়ের শেষ ওভারে পাঁচ ছক্কায় ২০৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে অবিশ্বাস্য এক জয় পায় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
এবার যেন সেই নাটকীয়তাকেও হার মানিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস আর রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচ। লখনৌর সামনে লক্ষ্য ছিল ২১৩ রানের। নিকোলাস পুরান ১৯ বলে ৬২ রানের দানবীয় এক ইনিংস খেলে বসেন। শেষ বলে এসে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় পায় লখনৌ।
নাটকীয়তার ম্যাচে ২১৩ তাড়া করতে নেমে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল লখনৌ। সেখান থেকে মার্কাস স্টয়নিস ৩০ বলে ৬ চার আর ৫ ছক্কায় ৬৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন।
এরপর অসাধ্য সাধনের মূল কাজটা করেন নিকোলাস পুরান। ৪ বাউন্ডারি আর ৭ ছক্কার মারে ১৯ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন পুরান।
তারপরও নাটক হয়েছে। ১৭তম ওভারের শেষ বলে পুরান আউট হন। শেষ ওভারে ৫ রান দরকার ছিল লখনৌর। হাতে ৩ উইকেট। হর্ষল প্যাটেল প্রথম ৫ বলে ৪ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। পিনপতন নীরবতা তখন ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। লখনৌর ১ বলে দরকার ১।
ব্যাঙ্গালুরু শেষ উইকেটটি ফেলে দিতে পারলে ম্যাচ টাই। এমন সময় ননস্টাইকের রবি বিষ্ণুই অর্ধেক ক্রিজ চলে গেলে শেষ সময়ে খেয়াল করে মানকাডিং করতে যান হর্ষল প্যাটেল। প্রথম দফায় স্টাম্প ভাঙতে না পেরে থ্রো করেন হর্ষল। ততক্ষণে বিষ্ণুই চলে এসেছেন ক্রিজের ভেতর।
শেষ বলটি স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকা আভেশ খান লাগাতে পারেননি, উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিকের কাছে চলে যায়। কিন্তু কার্তিক প্রথম দফায় বল ধরতে না পারলে দৌড় দেন আভেশ, হয়ে যায় এক রান। রুদ্ধশ্বাস এক জয় পায় লখনৌ।
ব্যাঙ্গালুরুর ওয়েন পারনেল আর মোহাম্মদ সিরাজ নেন তিনটি করে উইকেট।
এর আগে বিরাট কোহলি, ফ্যাফ ডু প্লেসি আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল-টপ অর্ডারের তিন তারকা ব্যাটারই ঝড় তুললেন। তাতে ২ উইকেট হারিয়ে ২১২ রানের পাহাড় গড়ে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
টস জিতে ব্যাঙ্গালুরুকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল লখনৌ। কোহলি আর ডু প্লেসি উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ বলে তুলে দেন ৯৬ রান।
৪৪ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় কোহলি ৬১ করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর ডু প্লেসি শুরু করেন তাণ্ডব। ৫০ বলে ১১৫ রানের বিধ্বংসী এক জুটি গড়েন তারা।
ম্যাক্সওয়েল ২৯ বলেই ৩ চার আর ৬ ছক্কায় খেলেন ৫৯ রানের দানবীয় এক ইনিংস। ম্যাক্সওয়েল শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থেকে যান। ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়কের ৪৬ বলে গড়া ৭৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ৫টি করে চার-ছক্কার মার।
লখনৌর মার্ক উড আর অমিত মিশ্র নেন একটি করে উইকেট।