বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ‘মত ও পথ’ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, এখন একধরনের লোক আছে , এমনকি তাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেকে আওয়ামী পরিবারের বলেও পরিচয় দেয়, কিন্তু তারা কথা বলে বাংলা নববর্ষ ও রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিরুদ্ধে, আমরা তাদেরকে ধিক্কার জনাই। যারা বাঙালির প্রাণের উৎসব ‘বাংলা নববর্ষ’ ও রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারাদেশে আজ প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ এবং বের করা হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই মঙ্গল শোভাযাত্রা যত বড় হবে. বাঙালির জীবনে মঙ্গল তত বেশি করে আসবে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরাসহ যেখানে বাংলা ভাষায় কথা বলা হয়, তাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি আমরা বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করি। কেননা অমরা হলাম বিশ্বের একমাত্র বাংলা ভাষাভাষী রাষ্ট্র, যা বিশ্বে আর কোথাও নেই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক(গ্রেড-১) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন বলেন, বাংলা নববর্ষের ওপর চক্ষুশূল তারাই, যারা বাঙালিকে পছন্দ করে না, বাঙালিত্ব পছন্দ করে না, যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে পছন্দ করে না।
তিনি আরও বলেন, আবহমান কাল ধরে যেমন আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি আছে, তেমনি এই কুপমণ্ডুক দলও আছে, যারা এটিকে বাধা দিতে সবসময় উদগ্রীব হয়ে থাকে। তবে তারা যতবার বাধা দেয় ততবার বাঙালি সংস্কৃতি আরও দ্বিগুণ বলীয়ান হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্তে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কেক কাটার মাধ্যমে বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়।