ঈদের ছুটিতে সড়কে চাপ পড়তে পারে আজ থেকে, যানজটের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়ক ও নৌপথে স্বস্তির ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সড়কপথে দ্বিতীয় দিনে স্বস্তিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন ঘরমুখো মানুষ। একইদিন ঢাকা থেকে নৌপথে প্রথম ঈদযাত্রা হয়েছে অনেকটাই সুখকর। বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে বাড়তি যাত্রীর ভিড় ছিল না।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আজ বুধবার থেকে সড়কপথে যানবাহনের চাপ বাড়বে। এতে বিভিন্ন এলাকার সেতুতে যানজট দেখা দিতে পারে।

universel cardiac hospital

সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, দিনভর সড়কের কোথাও যানজটের খবর পাইনি। ঘরমুখো মানুষ এখন পর্যন্ত স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

মহাখালী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, উত্তরের পথে কিছু কিছু এলাকায় ধীরগতিতে যানবাহন চললেও যানজট নেই।

তিনি বলেন, বুধবার থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় কিছুটা গাড়ির জটলা হতে পারে। টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত যানবাহনের কিছুটা জটলা থাকার কথাও জানান তিনি।

মঙ্গলবার ঢাকার সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু হয় সকাল থেকেই। ঈদ যাত্রায় ১৮০টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিসির যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি মধুমতি’ ঢাকা সদরঘাট (লালকুঠি) ঘাট থেকে চাঁদপুর-বরিশাল-ঝালকাঠি-কাউখালী-হুলারহাট-চরখালি ও বড়মাছুয়ার উদ্দেশে মঙ্গলবার ছেড়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদী বন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল সার্ভিস শুরু হয়ে চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত।

বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক কবির হোসেন বলেন, সুষ্ঠু ও নিরাপদ যাত্রীসেবা দেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করে। প্রথম দিনে যাত্রী চাপ তেমন একটা ছিল না। তবে আগের চেয়ে যাত্রী বাড়ার কথা জানান তিনি।

ঈদের আগের তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ। ২২ এপ্রিল ঈদ ধরে সরকারি ছুটি ঘোষণা হয়েছে। এই হিসেবে আজ ১৯ এপ্রিল থেকে মহাসড়কে পণ্যবাহী এসব যান চলাচল বন্ধ থাকার কথা।

বিআরটিএ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রীসহ রপ্তানিপণ্যবাহী যানবাহন, ওষুধ, সার, কাঁচা চামড়া ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহনগুলো নিষেধজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এ ছাড়া পণ্যবাহী পরিবহনে কোনো অবস্থাতেই যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

শেয়ার করুন