সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে পর্যটক আলে ইমরানকে (৩২) হত্যার আগে আবাসিক হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরা ঘুরিয়ে রাখা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের দাবি করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানায় পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঈদের মাত্র কয়েক দিন আগে এমন ঘটনা পর্যটকদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ত। কিন্তু পুলিশ আলে ইমরান হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছে। মূলত জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকার আবাসিক হোটেলে থাকা ক্লোজড সার্কিট টিভি ক্যামেরাটি ঘটনার কিছু সময় আগে ঘুরিয়ে রেখেছিলেন আলে ইমরানের স্ত্রী খোশনাহার। এর সূত্র ধরেই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
১৭ এপ্রিল বেলা তিনটার দিকে জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকার একটি আবাসিক হোটেল-সংলগ্ন ডাউকি নদের কাছাকাছি একটি দেয়ালের পাশ থেকে পাথরচাপা অবস্থায় আলে ইমরানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আলে ইমরান কিশোরগঞ্জের নিকলীর গুরই ইউনিয়নের ছেত্রা উত্তরপাড়া গ্রামের আবদুল জব্বারের ছেলে।
১৬ এপ্রিল আলে ইমরান তার স্ত্রী খোশনাহারকে নিয়ে জাফলংয়ের বল্লাঘাট এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন। হত্যার ঘটনায় নিহত আলে ইমরানের বাবা আবদুল জব্বার বাদী হয়ে ১৮ এপ্রিল গোয়াইনঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।