সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ঈদের নামাজে জুতা বদল করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় আবুল কাশেম (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি মাইজখলা গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত হন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাইজখলা গ্রামের মসজিদের সামনে খাল পাড়ে এ সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাইজখলা গ্রামের মসজিদে ঈদের জামাত শেষে জুতা পরিবর্তন নিয়ে মাইজখলা গ্রামের শাহ নেওয়াজের ছেলে জালাল শাহর (৪৫) সাথে একই গ্রামের জিয়াউর রহমানের (৩৫) কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে খালের পাড়ে সেলিম মিয়ার বাড়ির সামনের পতিত জমিনে ওপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হন।
এদের মধ্যে জালাল শাহর পক্ষের আবুল কাশেমসহ বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত হয়। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বিকালে আবুল কাশেম মারা যায়। এছাড়াও উভয়পক্ষের আহতদের দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- জালাল শাহর পক্ষের মো. ইদ্রিছ আলীর ছেলে হানিফ মিয়া (৩৫), মো. সুমন মিয়া (২৫), হেলাল মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২০), শাহ নেওয়াজের ছেলে মরম শাহ (৩৫), মিলন মিয়ার ছেলে সজীব মিয়া (২৫), মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে আয়াত আলী (৩২), আব্দুর রউফের ছেলে রনি মিয়া (২২), মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুর রউফ (৫০), আমিনুল হক (৩৮), মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান (৩০), আ. হাকিমের ছেলে অজুদ মিয়া (৩৮), মৃত আব্দুল মন্নাফের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৮), মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল মন্নাফ, আব্দুর রশিদ (৬৫), আব্দুল হাকিমের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০) প্রমুখ।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেব দুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।