চলতি বছরেই চালু হবে ঢাকা-টোকিও সরাসরি ফ্লাইট। এটি চালু হলে ঢাকা থেকে জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে যেতে ছয় ঘণ্টা সময় লাগবে। ফ্লাইট চালু হলে দুদেশের জনগণ উপকৃত হবে। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ যে আটটি চুক্তি ও সমাঝোতা সই হয়েছে, তার আওতায় সরাসরি ফ্লাইটের বিষয়টিও রয়েছে। বুধবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মধ্যে এসব সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
এর আগে ফুমিও কিশিদার কার্যালয়ে দুদেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন। এতে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পায়। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে এই সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উভয় দেশ এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা জোরদারের বিষয় নিয়েও আলোচনা করবে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর ঢাকা ও টোকিও কৃষি, মেট্রো রেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধাসম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
উভয় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
এর আগে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রবেশপথে গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করেন। এসময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।