সুদানের পরিস্থিতির অবনতি: বাংলাদেশিদের খার্তুম থেকে সরানো হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সুদানে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় আরও তিন দিন বাড়াতে বিবদমান দুই বাহিনী সম্মত হলেও লড়াই থামেনি। বরং রাজধানী খার্তুমের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে বলে সেখানে থাকা বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন। তারা শুক্রবার সকাল থেকেই খার্তুমে টানা গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। রকেট ও বিমান হামলা হচ্ছে।

বিমান থেকে বোমা হামলায় খার্তুমের কেন্দ্রস্থলে একটি প্লাস্টিক কারখানা ধ্বংস হয়েছে। এর কাছেই রয়েছে যৌথ বিনিয়োগের বাংলাদেশি একটি ইস্পাত কারখানা। ইস্পাত কারখানার ব্যবস্থাপক মো. আনিসুর রহমান ফোনে ঢাকার গণমাধ্যমকে জানান, তাদের কারখানায় ৩৭ জন কর্মী ছিলেন। বোমা হামলায় তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

universel cardiac hospital

খার্তুমে অবস্থানরত বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিক মুঠোফোনে শুক্রবার বিকেলে ঢাকার গণমাধ্যমকে বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে প্রথম দফার তিন দিনের অস্ত্রবিরতির সময়ও লড়াই অব্যাহত ছিল। শুক্রবার সকাল থেকে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। এ কারণে খার্তুম এবং এর আশপাশে অবস্থানরত কয়েক শ বাংলাদেশি নাগরিক চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।

সুদানে লড়াইরত সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে প্রথম দফার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেষ হয়। বিবিসি জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘসহ সুদানের প্রতিবেশী দেশগুলোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়াতে সম্মত হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (সিডিএ) তারেক আহমেদ বৃহস্পতিবার পোর্ট অব সুদানে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন, প্রথম দফায় ২ মে ১২টি বাসে করে প্রায় ৬০০ বাংলাদেশিকে খার্তুম থেকে পোর্ট অব সুদানে নিয়ে আসা হবে। সেখানে স্কুল, মসজিদ বা মাদ্রাসায় সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এক–দুই দিন পর তাদেরকে একটি সৌদি জাহাজে জেদ্দা পাঠানো হবে। এরপর জেদ্দা থেকে উড়োজাহাজে দেশে আনা হবে।

শেয়ার করুন