সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে সুদান থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন সাড়ে ছয়শোর বেশি বাংলাদেশি; খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় ফেরানো হচ্ছে তাদের।
মঙ্গলবার (২ মে) সকালে তিন জায়গা থেকে ১৩টি বাসে করে এই বাংলাদেশিরা পোর্ট সুদানের উদ্দেশ্যে রওনা করেন বলে জানান খার্তুমে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ।
তিনি বলেন, পোর্ট সুদান পর্যন্ত প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে তাদের।
গত ১৫ এপ্রিল সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ এবং আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে লড়াই শুরুর পর এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষ নিহত হয়েছে। এ লড়াইয়ে রাজধানী খার্তুম ও আশপাশের আবাসিক এলাকাগুলো পরিণত হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে।
সরকারি হিসাবে, সুদানে দেড় হাজারের মত বাংলাদেশি রয়েছে। পরিস্থিতির ক্রম অবনতি ঘটায় বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের সুদান থেকে জাহাজে সৌদি আরবের জেদ্দায় নিয়ে সেখান থেকে দেশে ফেরানো হবে।
প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে এর আগে জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পোর্ট সুদানে যাওয়ার পর সেখান থেকে জাহাজে জেদ্দা এবং জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ফেরানো হবে তাদের।
দেশের উদ্দেশ্যে রওনা করা সুদান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, দেশে ফেরার জন্য তিন জায়গায় অবস্থান নিয়েছিলেন বাংলাদেশিরা।
তিনি বলেন, সোমবার রাত থেকে বাসছাড়ার স্থান খার্তুমের শারিয়া আল সিত্তিন ও মাদানি স্ট্রিটের যে চৌরাস্তা এবং আল-সালাম হোটেলে এসে জড়ো হন ৬২৩ জন। আগে থেকে পোর্ট সুদানগামী রাস্তায় অবস্থান করছিলেন ৫৯ জন।
প্রবাসীরা জানান, সুদান ছাড়ার জন্য জড়ো হওয়ার পর খার্তুমের দিকে যাওয়ার সময় কয়েকদিন আগে ডাকাতির শিকার হয়েছিলেন ৫৯ বাংলাদেশি। পরে নিজেদের মত করে পোর্ট সুদানের উদ্দেশ্যে রওনা করে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নেন তারা।
তিন স্থান থেকে এই বাংলাদেশিদের রওনা করার কথা জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, ৯টি বাসে করে সকাল ৯টার দিকে ৩৫০ জন বাংলাদেশি রওনা করেন। আর আল-সালাম হোটেল যারা ছিলেন, তাদের জন্য বড় বাস যেতে পারেনি।