দেশে মূল্যস্ফীতি টানা পাঁচ মাস কমার পর ফেব্রুয়ারিতে আবারও বেড়ে যায়। পরের মাস মার্চে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশে। মার্চ মাসে আবারও মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়। সবশেষ মাস এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা আশাব্যঞ্জক নয়। এপ্রিল মাসে সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। ফলে মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমেছে।
বুধবার (৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া এপ্রিল মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, এপ্রিলে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম কমায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।
তবে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম অপরিবর্তিত আছে। খাদ্যবহির্ভূত খাতে এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। এর আগের মাসেও এটি ৯ দশমিক ৭২ শতাংশই ছিল।
আলোচ্য মাসে গ্রামের তুলনায় শহরে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। এপ্রিলে গ্রামে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। একই সময়ে শহরে এই হার ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এপ্রিলে সামান্য বেড়েছে মজুরির হার। এ মাসে মজুরি সূচক ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ হয়েছে। মার্চ মাসে যা ছিল ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। মজুরি সূচক সামান্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমার ফলে জনমনে স্বস্তি এসেছে বলে দাবি বিবিএসের।