প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবের মধ্যেও কীভাবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে তা নিয়ে বিশ্ব নেতাদের মূল কৌতূহল। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ বিষয়ে জানতেও চেয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় শনিবার (৬ মে) ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্য অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অনুষ্ঠান চলাকালে প্রধানমন্ত্রী মিশর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠক সম্পকে ব্রিফিং করেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যেসব রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের আলাপ হয়েছে, তারা তার প্রতি যথার্থ সম্মান দেখিয়েছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) সবার কাছ থেকে অসাধারণ সম্মান পেয়েছেন।’
সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অব্যাহত নেতৃত্ব ও তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সবাই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন। তারা (বিশ্ব নেতারা) জানতে চেয়েছেন, বাংলাদেশ কীভাবে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে।’
বৈঠকে সিয়েরা লিওনের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পত্নী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, তাঁরা বলেছেন- ‘আমরা আপনাকে (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী) অনুসরণ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৪ মে লন্ডনে পৌঁছান। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারত্ব এবং জাপানে দ্বিপাক্ষিক সফর করেন।
রাজা চার্লসের রাজ্য অভিষেক অনুষ্ঠানের আগে তিনি কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকে দ্বি-বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেন। লন্ডনের কমনয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের মার্লবোরো হাউজে এ শীর্ষ সম্মেলন হয়। রাজা চার্লস তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের মতবিনিময় হয়। অন্যদিকে রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সভাপতিত্বে কমনওয়েলথ নেতাদের একটি আলোচনা প্রধান সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রানী দ্বিতায় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ৭৪ বছর বয়সী তৃতীয় চার্লস গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে গঠিত যুক্তরাজ্যের রাজা হন। রাজকীয় ঐতিহ্য অনুসারে, জাতীয় শোক এবং বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতির পরে একজন ব্রিটিশ রাজার রাজ্যাভিষেক হয়।
রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, বেলজিয়াম, জাপান, হাঙ্গেরি, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত ছিলেন।