পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিকে ই ইনসাফ-পিটিআই প্রধান ইমরান খান গ্রেপ্তার হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) বাইরে থেকে তাকে নিয়ে যায় দেশটির আধাসামারিক বাহিনী-রেঞ্জার্স। পরে পাকিস্তানের পুলিশপ্রধান জানান, ইমরান খানকে আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে দলপ্রধানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে পিটিআই। ইসলামাবাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে দেশটির সংবাদ মাধ্যমে পিটিআই নেতাকর্মীদের মারধরের খবর এসেছে।
খবরে বলা হয়, এদিন হাইকোর্টে বাইরে ইমরান খানের গাড়িবহর ঘিরে ফেলে রোঞ্জার্স বাহিনী। এসময় ইমরান খানকে আটকের চেষ্টা চালালে আইনজীবী ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে রেঞ্জার্স বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। এতে অনেকেই আহত হন।
পাকিস্তানের প্রথম সারির গণমাধ্যম দ্য ড্যনের খবরে বলা হয়, পিটিআই সহ-সভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরী এক টুইট বার্তায় অভিযোগ করে বলেছেন, রেঞ্জার্সরা হাইকোট প্রাঙ্গন দখল করেছে। ইমরান খানের গাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে।
পিটিআই নেতা আজহার মাশওয়ানি অভিযোগ করেছেন, রেঞ্জার্সরা আদালতের ভেতর থেকে ইমরান খানকে ‘অপহরণ’ করেছে। তিনি বলেন, দলটি তাৎক্ষণিকভাবে দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
পিটিআই নেতা মুসাররাত চিমা টুইটারে একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন: ‘তারা এখন ইমরান খানকে নির্যাতন করছে। তারা খান সাহেবকে মারছে। ওরা খান সাহেবের সাথে কিছু করেছে।’
পিটিআই-এর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টও ইমরানের আইনজীবীর ভিডিও শেয়ার করে বলেছে যে, তিনি আইএইচসি-র বাইরে ‘মারাত্মকভাবে আহত’ হয়েছেন।
ইসলামাবাদ পুলিশ জানিয়েছে রাজধানী শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ইমরান খানের গাড়ি ঘেরাও করা হলেও কাউকে নির্যাতন করা হয়নি।
এর আগে বেশ কয়েকবার ইমরান খানকে আটকের চেষ্টা চালায় পুলিশ। তার বাসভবনও ঘেরাও করা হয়। তবে নেতাকর্মীদের প্রতিবাদে তাকে আটক করা যায়নি। আরেকবার তিনি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতানো সাবেক এই ক্রিকেট অধিনায়ক।