দেশের তিন জেলায় একদিনে বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজনই কৃষক এবং একজন নৌকার মাঝি। আজ বুধবার মাগুরায় তিনজন, রাজবাড়ীতে দুইজন এবং সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়।
বিস্তারিত জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে-
মাগুরা
মাগুরার শ্রীপুরে বজ্রপাতে তিন কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। বুধবার বিকেলে উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের চরচৌগাছি গ্রামে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, পাটক্ষেতে কাজ করছিলেন কয়েকজন কৃষক। দুপুরের দিকে হঠাৎ আকাশে মেঘ জমে ও হালকা বৃষ্টি হয়। এসময় বজ্রপাতে কৃষক শাহাদাত হোসেন (৫৬), নিজাম শেখ (৬০) ও মোহাম্মদ আলী (৫৫) মারা যান। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম নামের আরও এক কৃষক গুরুতর আহত হন।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লিটন কুমার সরকার বজ্রপাতে তিন কৃষক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকেলে বালিয়াকান্দির বিলপাকুরিয়া ও কালুখালীর মদাপুরে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বালিয়াকান্দির বিলপাকুরিয়া এলাকার সামাদ জোর্য়াদ্দারের ছেলে ইমদাদুল হক (২৮) এবং কালুখালীর মদাপুর এলাকার বাসুদেব সিংয়ের ছেলে কুমত সিং (৪২)। তারা দুজনই পেশায় কৃষক।
জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজবাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো বাতাস, বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়। এসময় ইমদাদুল হক বাড়ির পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাঈদুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, একই সময় কালুখালীর মদাপুর এলাকার কুমত সিং তার বাড়ির অদূরে ভুট্টাক্ষেতে কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রপাত হলে তিনিও গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বজ্রপাতে ওই দুই কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় বজ্রপাতে সাদ্দাম হোসেন (৩৪) নামে এক নৌকার মাঝির মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই উপজেলার হাটাইল গ্রামের আজাহার সিকদারের ছেলে।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর হাটাইল চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চৌহালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিকেল ৪টার দিকে নৌকা নিয়ে ভূতের মোড় থেকে হাটাইল চরে আসার সময় প্রবল বাতাস ও বৃষ্টির কবলে পড়েন সাদ্দাম হোসেন।
এসময় বজ্রপাতে তিনি নৌকা থেকে নদীতে পড়ে যান। খবর পেয়ে স্বজনসহ স্থানীয়রা নৌকা এবং জাল দিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার মরদেহ উদ্ধার করে।