বিএনপির অপরাজনীতির কারণেই ঢাকাস্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরায় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, মার্কিন দূতাবাসের এটি করা খুবই স্বাভাবিক। বিএনপি যেভাবে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা শুরু করেছে, আবার যেভাবে গাড়িতে আগুন দেওয়া শুরু করেছে, এগুলো দেখেই তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃত্বে তাদের জোট যদি এরকম জ্বালাও-পোড়াও করতে থাকে তাতে অনেকেই এমন সতর্ক করতে পারে। এটি বিএনপির অপরাজনীতিরই ফসল।
সোমবার সচিবালয়ে টেলিভিশন নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
বিএনপি হত্যা-খুনের অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির রাজশাহী জেলা আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে-এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি আসলে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিটাই করছে। বিএনপি নেতাদের মনে এবং দলের মধ্যে এটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর সেটাই তাদের রাজশাহী জেলা আহ্বায়কের মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে।’
বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলোর মান নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশ বিবেচনায় নিলে মানুষ বাংলাদেশ টেলিভিশনই বেশি দেখে। বিটিভি’র অনুষ্ঠানে বহু গুণগত পরিবর্তন এসেছে। যে কোনো টেলিভিশনের চেয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রোগ্রামের মান এখন অনেক উন্নত।
এর আগে ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে সভায় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা সব টেলিভিশনকে উৎসাহ দিচ্ছি যাতে তারা বাংলাদেশের শিল্পী, কলাকুশলীদের নিয়ে দেশের কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিরিয়াল বানায়। একইসাথে সেগুলো যেন সমাজকে ভালো জিনিস শেখায়। যেকোনো সিরিয়াল বা নাটক যেমন বিনোদন দেবে পাশাপাশি যদি সেখানে সমাজ হিতৈষী বার্তা থাকে, তাহলে সেটিকে আমি যথার্থ এবং পরিপূর্ণ মনে করি।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ’র নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সব সদস্যকে অভিনন্দন জানান এবং দেশ ও দশের সেবায় তাদের আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।
ডিরেক্টরস গিল্ড কার্যনির্বাহী পরিষদের অপর সদস্যদের মধ্যে সহ-সভাপতি কায়সার আহমেদ, আশরাফুল আলম রন্টু, সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান ও রাশেদা আক্তার লাজুক, অর্থ সম্পাদক আবু রায়হান মো. জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম রেজা জুয়েল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জহির খান, প্রশিক্ষণ ও আর্কাইভ বিষয়স সম্পাদক শুভ্র খান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সবুজ খান, আইন ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক তারিক মুহাম্মদ হাসান, দপ্তর সম্পাদক সাঈদ রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য দীন মোহম্মদ মন্টু, সৈয়দ আওলাদ, গাজী আপেল মাহমুদ, ফিরোজ আহমেদ দুলাল, শহীদুল ইসলাম রুনু, শাহীন মাহমুদ ও নাসির উদ্দিন মাসুদ সভায় অংশ নেন।