নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হয়ে উঠতে পারে। ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল যাতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারে, এই সফরে সেই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল (প্রচন্ড) আজ বুধবার চারদিনের সরকারি সফরে ভারতে যাচ্ছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজার পত্রিকা ও এএনআইয়ের।
তাঁর সঙ্গে আসছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রতিনিধিদল। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর। এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও প্রচন্ড সাক্ষাৎ করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে। নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশ যতোটা আগ্রহী, নেপালও বিদ্যুৎ বিক্রিতে ততোটাই আগ্রহী। ভারতের মধ্য দিয়ে দুই দেশ যাতে একে অপরের সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনাবেচা করতে পারে, সে জন্য নেপাল ও বাংলাদেশ অনেক দিন ধরেই তৎপর।
একাধিকবার তারা বিষয়টি উত্থাপনও করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে তাদের আগ্রহের কথা ভারতকে জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সাউদ বাংলাদেশে এসেও এই প্রসঙ্গ আলোচনা করেন। বাংলাদেশের শিল্পপতিদের নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রস্তাবও তিনি দেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, প্রচন্ডের এই সফরে বিদ্যুৎ রপ্তানি ও সে জন্য ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনসংক্রান্ত বোঝাপড়া বা চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সেটা হলে নেপাল ও বাংলাদেশের পারস্পরিক প্রয়োজন যেমন মিটবে, তেমনই আঞ্চলিক বোঝাপড়াও জোরদার হবে। আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি বাড়াতে ভারত এমনিতেই সক্রিয়। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।