পিবিআইয়ের এক মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন, অন্যটি মুলতবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক এসপি বাবুল আকতার
সাবেক এসপি বাবুল আকতার। ফাইল ছবি

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন আদেশ দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন আদালত।

universel cardiac hospital

এ সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রোববার (৪ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিসুর রহমান।

আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, নাইমা সুলতানার মামলায় আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছেন। অপরদিকে বনজ কুমার মজুমদারের মামলায় জামিন আদেশ দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন। এর ফলে বনজ কুমার মজুমদারের মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন যেভাবে ছিল সেভাবে থাকবে।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে বাবুল আক্তার, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)।

মামলার এজাহারে পিবিআই প্রধান অভিযোগ করেন, আমার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই দেশের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করার সময়ে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার প্রধান আসামি হিসেবে তদন্তে প্রকাশ পায়। তদন্তকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেল হাজতে থাকা বাবুল আক্তার ও বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল আক্তার ও অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। যে বিষয়ে ৪ সেপ্টেম্বরে আমি অবগত হই।

পিবিআই প্রধান এজাহারে উল্লেখ করেন, ভিডিওতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস করা হয়। রাষ্ট্রের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিরও অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে।

শেয়ার করুন