বিশ্বব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশ সরকার কয়েক মাস ধরে আমদানির ওপর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর ফলে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে। পাশাপাশি দেশে জ্বালানিসংকটও রয়েছে। এসব কারণে দেশের শিল্প উৎপাদন ও পরিষেবা—এ দুই খাতে বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের জন্য একটি ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশ্বব্যাংক বলছে, এই ঋণ নেওয়ার পেছনে বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য রক্ষা করা এবং আমদানি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসা।
বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তবে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নিয়ে আগের পূর্বাভাসই বহাল রাখা হয়েছে।
গত জানুয়ারি মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বিশ্বব্যাংক। সেখানে চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে—এমন পূর্বাভাস দিয়েছিল। এ ছাড়া আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২০২৪–২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
গতকাল প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই পূর্বাভাস বহাল রেখেছে সংস্থাটি। যদিও সরকার চলতি ও আগামী অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।