চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে জন্য বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)। করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির নানাবিধ বিরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলায় এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
বুধবার (১৪ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) মধ্যে বাজেট সাপোর্ট ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সফট লোন হিসেবে এ ঋণের সুদের হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এ ঋণ ৩ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৬ বছরে পরিশোধ করবে বাংলাদেশ।
চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সচিব শরিফা খান এবং এআইআইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট ওরজিট আর প্যাটেল সাক্ষর করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি নানাবিধ বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন। এর মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আমদানি বৃদ্ধি, বাণিজ্য ঘাটতি, মার্কিন ডলারের বিপরীতে ঢাকার অবমূল্যায়ন ইত্যাদি উল্লেখ্য। এমন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এআইআইবিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী বাজেট সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়।
এ ঋণের অর্থ কোভিড-১৯ ও বিশ্বব্যাপী চলমান আর্থিক অস্থিতিশীলতার ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ব্যবহৃত হবে। এআইআইবি থেকে প্রাপ্ত অর্থ একবারে ছাড় হবে। এ ঋণ ৩ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৬ বছরে পরিশোধযোগ্য। এ ঋণের সুদের হার হবে সফট লোনের মতো ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এছাড়া এ ঋণের ফ্রন্ট অ্যান্ড ফি হিসেবে এককালীন শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং অব্যয়িত অর্থের উপর শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।
বাংলাদেশে ২০১৬ সাল থেকে এআইআইবি কার্যক্রম শুরু করে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রকল্পে ৩০৩৭.৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত প্রণোদনা কর্মসূচি ও কোভিড পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে গত তিন বছরে এআইআইবি এক হাজার পঞ্চাশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট ঋণ প্রদান করেছে।