২০৫০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিসে মৃত্যু বেড়ে দ্বিগুণ হবে: গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফাইল ছবি

২০৫০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হতে পারে। নতুন এক গবেষণায় সম্ভাব্য এ সংখ্যা ১৩০ কোটি বলে অনুমান করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে গবেষণায় বলা হয়েছে, ব্যবস্থাগত বিভেদ ও দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য মৃত্যুর এ সংখ্যা বাড়াবে।

চিকিৎসাবিজ্ঞান-বিষয়ক সাময়িকী ‘ল্যানসেট’-এ আজ শুক্রবার গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের সব দেশেই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়বে। খবর এএফপির।

বর্তমানে ৫২ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন বলে ধারণা করা হয়। মানুষের মৃত্যুর শীর্ষ ১০ কারণের একটি ডায়াবেটিস। এ ছাড়া ডায়াবেটিসের কারণে মানুষ শারীরিকভাবে সক্ষমতাও হারায়। গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ৯৫ শতাংশই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই সংখ্যা আগামী তিন দশকে বেড়ে ১৩০ কোটিতে দাঁড়াবে।

ডায়াবেটিসে মৃত্যুর অর্ধেকের সঙ্গেই যোগ আছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন বা স্থূলতা। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের শারীরিকভাবে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনেও দায়ী এই স্থূলতা। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে মানুষের খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা, ধূমপান ও মদ্যপান।

ওয়াশিংটনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশনের প্রধান বিজ্ঞানী ও এই গবেষণার অন্যতম সদস্য লিয়ান ওং বলেন, এক খাদ্যের দিকে তাকালেই বোঝা যায়, এটি কতটা বদলে গেছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্যাভ্যাস—হয়তো বেশি বেশি ফল ও সবজি খাওয়া—এসব গত তিন দশকে অনেকটাই বদলে গেছে। মানুষ বেশি বেশি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে অভ্যস্ত হয়েছে।

এ গবেষণা অনুযায়ী, ২০৪৫ সালের মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তিন-চতুর্থাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবে।

‘ল্যানসেট’-এর আরেক গবেষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশেও সংখ্যালঘু তথা কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক, এশীয়দের মধ্যে ডায়াবেটিসের হার দেড় গুণ বেশি। এ জন্য মেডিকেল কলেজ অব উইসকনসিনের গবেষক ‘ক্রমবর্ধমান ডায়াবেটিস বৈষম্যকে’ দায়ী করেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, বর্ণবাদী নীতির কারণে একটি বিশেষ শ্রেণির মানুষ পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।

ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশনের প্রধান বিজ্ঞানী লিয়ান ওং বলেন, সম্ভাব্য খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, বিনিয়োগে সব দেশের মনোযোগ দিতে হবে।

শেয়ার করুন