ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেটের পতন। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার ধারা চলতে থাকল পরেও। স্রোতের বিরুদ্ধে লড়াই করা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দায়িত্বশীল ইনিংসে কোনোমতে দুইশ পার করল শ্রীলঙ্কা। পরে নিজেদের মেলে ধরলেন দলটির বোলাররা। দারুণ ফিফটিতে দলকে টানলেন ওয়েসলি বারেসি ও স্কট এডওয়ার্ডস। কিন্তু চমক জাগানো জয়ের আশা জাগিয়েও পেরে উঠল না নেদারল্যান্ডস।
বুলাওয়ায়োতে শুক্রবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চূড়ান্ত ধাপ সুপার সিক্সে ২১ রানের জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। ২১৩ রানের পুঁজি নিয়ে ডাচদের ১৯২ রানে থামিয়ে দিয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ের সুবাদে ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বের পথে এক পা এগিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে লোগান ফন বিকের প্রথম বলে কাভারে ক্যাচ দেন পাথুম নিসানকা। দলকে টানতে পারেননি দিমুথ করুনারত্নে, কুসাল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, দাসুন শানাকারা।
৯৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলের এক প্রান্ত ধরে রাখেন ছয়ে নামা ধনাঞ্জয়া। দেখেশুনে খেলে ৭৯ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মাহিশ থিকশানাকে নিয়ে দলের রান দুইশ পার করেন তিনি।
ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তখন ধনাঞ্জয়ার দৃষ্টিসীমানায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছুঁতে পারেননি তিন অঙ্ক। ২ ছক্কা ও ৮ চারে ৯৩ রানে শেষ হয় তার লড়াই। এই ইনিংসেই ম্যাচে সেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতে।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন ফন বিক। তিনটি শিকার ধরেন বাস ডে লেডেও, ৪২ রানের বিনিময়ে। দুটি প্রাপ্তি সাকিব জুলফিকারের।
প্রতিপক্ষকে অল্পতে গুটিয়ে দেওয়ার স্বস্তি দ্রুতই উবে গেল ডাচদের। রান তাড়ায় দ্বিতীয় বলেই বিক্রমজিত সিংকে হারায় তারা। দলটির আরেক অভিজ্ঞ ওপেনার মাক্স ও’ডাওড পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ।
শুরুর সেই ধাক্কা সামলে বারেসি ও ডে লেডের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় নেদারল্যান্ডস। তাদের ৭৭ রানের জুটিতে আশার আলো উজ্জ্বল হতে থাকে দলটির। কিন্তু ৩ রানে মধ্যে দুই উইকেট হারালে তাদের সেই আশায় লাগে চোট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ডাচরা। ১২৭ রানে ৪ উইকেট থেকে দুইশর আগে গুটিয়ে যায় তারা।