বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে ৩০ দিনের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত সারাদেশে রেলওয়ের সম্পত্তি অবৈধ দখলমুক্ত করতে বিবাদীদের নিষক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং দখলকারীদের উচ্ছেদ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না বলে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন।
সোমবার হিউম্যান রাইটস এন্ড পীস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে করা একটি সম্পূরক আবেদন দাখিল করা হয়। রিটে বাংলাদেশ রেলওয়ে সচিব, মহাপরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে, পরিচালক বাংলাদেশ রেলওয়ে, সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা বাংলাদেশ রেলওয়েকে বিবাদী করা হয়।
দেশের বিভিন্ন জেলায় রেলওয়ের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলকারীদের উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট করেন এইচআরপিবি। রিটে এইচআরপিবির আইনজীবী ছিলেন মনজিল মোরশেদ। আর তাকে সহযোগিতা করেন রিপন বাড়ৈ। সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. সাইফুদ্দিন খালেক।
আরেক আদেশে আদালত রেলওয়ের সচিব ও মহাপরিচালককে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় রেলওয়ের কী পরিমান জমি অবৈধ দখল আছে এবং দখলকারীদের তালিকা তৈরি করে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুনানিতে মনজিল মোরশেদ বলেন, ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জে রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট পিটিশন করার পরবর্তীতে বিভিন্ন মিডিয়ায় সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় শত শত একর জমি অবৈধভাবে দখল করা আছে বলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মনজিল মোরশেদ আদালতে বলেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কতিপয় অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজসে হাজার হাজার একর সম্পত্তি বেদখল হয়ে আছে, যা মূলত জনগণের সম্পত্তি এবং এগুলো উদ্ধারের জন্য নির্দেশনা প্রয়োজন। আদালত হস্তক্ষেপ না করলে এসব জনগণের সম্পত্তি উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।