শেখ হাসিনার মতো নারীবান্ধব সরকার আর আসবে না: মোকতাদির চৌধুরী

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নারীবান্ধব কোনো সরকার আগেও ছিলো না, ভবিষ্যতেও আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা।

নারীদের উদ্দশে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের সরকার। সরকার আগেও ছিলো। কিন্তু তারা কোনো ভাতা দেয়নি। একমাত্র শেখ হাসিনার সরকারই দিয়েছে। শেখ হাসিনার চেয়ে নারীবান্ধব কোনো সরকার আগেও ছিলো না। ভবিষ্যতেও আসবে না। কাজেই বিষয়টি মনে রেখে আগামী দিনে পথ চলবেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ই সর্বপ্রথম নারীর ক্ষমতায়নের ওপর জোর দেন। পৌরসভায় আগেও মহিলা কাউন্সিলর ছিল, কিন্তু আমরা কেউই তাদেরকে চিনতাম না। কারণ সেসময় মেয়র সাহেবের স্ত্রী, বোন, ফুফু, না হয় খালা কাউকে না কাউকে কাউন্সিলর বানিয়ে রাখা হতো। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা এসব বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নারী কাউন্সিলর ও মেম্বার সরাসরি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার সুযোগ সৃষ্টি করেন।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে, আপনাদের কাছে অনেক ধরনের মানুষ আসবে, মধুর মধুর কথা বলবে, যাদেরকে কখনোই দেখেন নাই। যে ব্যক্তি মানুষের সুখে-দুখে থাকে নাই, তাকে জনদরদী অবহিত করে তারা আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসবে; এ বিষয়টিও খেয়াল রাখবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমি এমপি হওয়ার আগে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে রাস্তায় বের হলেই ছুরি ধরে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যেতো বিভিন্ন ছিনতাইকারী চক্র, এখন কিন্তু এটা হয় না। কারণ, আমি আমার পাশে চাঁদাবাজদের জায়গা দেই না, ছিনতাইকারীদের জায়গা দেই না। আপনারা যদি এমন কাউকে দেখেন, আমাকে ডাক দিয়ে সরাসরি বলবেন, দেখবেন আমি তাদেরকে পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেই কিনা।

নারী সংগঠক ইয়াসমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, জেলা জজ কোর্টের পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনারা আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খবির উদ্দিনসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নারীরা।

শেয়ার করুন