মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, ট্রাম্প ফ্লোরিডার বিখ্যাত পাম বিচে তাঁর বাড়ি ‘মার-আ-লাগো’তে সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ মুছে দিতে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এভাবে তিনি সেখানে রাখা রাষ্ট্রীয় গোপন নথির তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। খবর এএফপির।
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি অব্যবস্থাপনার অভিযোগে আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার কার্যক্রম আগামী বছরের মে মাসে শুরু হবে। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছরের নভেম্বরে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২০ সালে নির্বাচনী ফলাফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ আনা হতে পারে, এমন আশঙ্কা নিয়ে ট্রাম্পের আইনজীবীরা যেদিন বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন, সেদিনই তাঁর বিরুদ্ধে নতুন এই অভিযোগ ওঠে।
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত মাসে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের কাছে রাখার দায়ে অভিযুক্ত হন। দেশটির সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, মার্কিন প্রেসিডেন্টদের আবশ্যিকভাবে তাদের সব নথি ও ই-মেইল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল আর্কাইভে জমা দিতে হয়। কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়ার পর ট্রাম্প অনেক গোপন নথি হোয়াইট হাউস থেকে তাঁর ফ্লোরিডার বাড়িতে সরিয়ে নেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন পারমাণু ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক তথ্যও ছিল।
অভিযোগে বলা হয়, ট্রাম্প ওই সব নথি নিজের মার–আ–লাগো বাড়িতে অযত্ন–অবহেলায় ফেলে রেখেছিলেন। ওই সব নথিতে পেন্টাগন, সিআইএ ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার রেকর্ড ছিল। নথিগুলো উদ্ধারে গেলে সরকারি কর্মকর্তাদের বাধা দেওয়া হয়। গতকালের অভিযোগে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী ওয়াল্টাইন ‘ওয়াল্ট’ নাউটা ও সম্পত্তিবিষয়ক ব্যবস্থাপক কার্লোস ডি অলিভেইরার বিরুদ্ধেও নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ মুছে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নতুন অভিযোগেও আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে থাকা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় প্রতিরক্ষা তথ্য নিজের কাছে রাখা, বিচারকাজে বাধা, মিথ্যা বিবৃতিসহ’ অন্যান্য অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে গত মাসে ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।