পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের বৈঠককে সামনে রেখে হুঁশিয়ারি নাইজারের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সংগৃহীত ছবি

নাইজারের সামরিক নেতারা বলেছেন, তারা তাদের দেশের ওপর কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ মেনে নেবেন না। আজ রোববার নাইজেরিয়ায় পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর নেতাদের জরুরি বৈঠককে সামনে রেখে এমন কথা বলেছেন তারা। নাইজারে সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দেশটির সেনাবাহিনীকে চাপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

সম্প্রতি এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম। ওই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে চিয়ানি গত শুক্রবার নিজেকে নাইজারের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

universel cardiac hospital

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ফ্রান্স নাইজারকে অর্থসহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। নিরাপত্তা সহযোগিতাও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।

এমন অবস্থায় নাইজারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পশ্চিম আফ্রিকার নেতারা বৈঠকে বসছেন। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইসিওডব্লিউএএস) এবং ৮ সদস্যবিশিষ্ট জোট ওয়েস্ট আফ্রিকান ইকোনমিক অ্যান্ড মনিটারি ইউনিয়নের নেতারা জোটগুলোতে নাইজারের সদস্যপদ স্থগিত করতে পারেন। আঞ্চলিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক ছিন্ন করা হতে পারে। এ ছাড়া দেশগুলো নাইজারের সঙ্গে সীমান্তগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বাজুমকে আবারও ক্ষমতায় ফেরাতে সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাপারেও ভাবা হতে পারে।

নাইজারের পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশ চাদ এ দুই আঞ্চলিক সংস্থার কোনোটিরই সদস্যদেশ নয়। এরপরও দেশটিকে ইসিওডব্লিউএএস সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার চাদের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আজকের ওই সম্মেলনকে সামনে রেখে গতকাল রাতে নাইজারের সামরিক নেতাদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি বিবৃতি পড়ে শোনানো হয়।

জান্তা সরকারের মুখপাত্র কর্নেল আমাদু আবদোরাহমানে বলেন, ইসিওডব্লিউএএস বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো নিয়ামিতে অনিবার্য সামরিক হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে নাইজারের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা অনুমোদন করা। আফ্রিকার যেসব দেশ ইসিওডব্লিউএএসের সদস্যদেশ নয়, তাদের এবং নির্দিষ্ট কিছু পশ্চিমা দেশেরও সহযোগিতা নেওয়া হবে। ইসিওডব্লিউএএস কিংবা এ ধরনের সংস্থাগুলোকে আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি যে আমরা আমাদের মাতৃভূমির সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর।

শেয়ার করুন