২ সেপ্টেম্বর সমুদ্রের মতো জনস্রোত দেখার অপেক্ষায় আছি: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

আগামী ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের। এ উপলক্ষে এদিন রাজধানীতে বড় জমায়েত করতে চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী সাংগঠনিক জেলাসমূহের নেতাদের মতবিনিময় সভায় এমন তথ্য জানানো হয়।

universel cardiac hospital

দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহাসমুদ্রের মতো জনস্রোত দেখার অপেক্ষায় আছি। সেদিন আওয়ামী লীগের জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেবে। আওয়ামী লীগ আদর্শ পতাকাবাহী সংগঠন। আমরা একাত্তরের সন্তান, ৭৫ এর সন্তান, ৩ নভেম্বরের সন্তান, একুশ আগস্টের সন্তান। আমাদের চেতনায়, আমাদের হৃদয় অনেক বেদনা। অনেক হারানোর বেদনা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতার লিগ্যাসি, তার কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের অর্থের মুক্তির সংগ্রামের লিগ্যাসি, বাংলাদেশে এই দুটি লিগ্যাসি টিকে আছে দাপটের সঙ্গে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন পতাকা উড়বে, ততদিন এ দেশে দুটি মানুষের মৃত্যু হবে না। একজন বঙ্গবন্ধু আরেকজন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কঠিন ঐক্য নিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দেবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশ পাকিস্তানের বন্ধুদের জন্য নয়, এ দেশ সাম্প্রদায়িকদের জন্য নয়, এ দেশ অর্থপাচারকারীদের নয়। মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া নেতা তারেককে বাংলাদেশের জনগণ নেতা বানাবে না।

তিনি বলেন, আজ বিএনপির মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নাকি তাদের ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছি। ফখরুল সাহেব, আপনাদের ২২ জন আর আমাদের ২২ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছেন।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? ২০০১ সালে অস্বাভাবিক সরকার যখন গদিতে বসেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছিল। ফখরুল সাহেব, আপনি এখন বলেন, সরকারি দল নাটক সাজিয়েছে। তখন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল, উনাকে কে মারতে যাবে? উনি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। নাটক তো আপনারা করেছিলেন। জজ মিয়ার নাটক। কাঁদতে কাঁদতে আমাদের চোখের পানি শেষ হয়েছে গেছে।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, লে. কর্নেল (অব) মো. ফারুক খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা প্রমুখ।

শেয়ার করুন