রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সোমবার সন্ধ্যার পর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পৌঁছলে তাঁকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। রাষ্ট্রপ্রধান আগামী ৫-৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ৪৩তম ‘আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন’ এবং ১৮তম ‘ইস্ট এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে’ যোগ দিতে সোমবার সেখানে পৌঁছান। তাঁকে বহনকারী বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-১৯১০) সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে জাকার্তার সোয়েকার্নো-হাত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। খবর বাসসের।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ ও বনমন্ত্রী সিতি নুরবায়া, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশ মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সাজেবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-৫৮৪) রাষ্ট্রপতি, তাঁর স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা এবং অন্যান্য সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়ে। রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী উড়োজাহাজটি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে (ইন্দোনেশিয়ার সময়) জাকার্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি এবং ২০২৩ সালের জন্য ‘আসিয়ান চেয়ার’ জোকো উইডোডোর আমন্ত্রণে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ‘আসিয়ান’ (অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস) শীর্ষ সম্মেলন এবং জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে (জেসিসি) ‘ইস্ট এশিয়া’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সেখানে ‘অতিথির চেয়ার’ হিসেবে ‘আইওআরএর দৃষ্টিকোণ থেকে বৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুকে সমর্থন করার জন্য আঞ্চলিক স্থাপত্যকে শক্তিশালী করা’ বিষয়ে সমাপনী ভাষণ দেবেন।
এছাড়াও তিনি ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো এবং থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং তিমুর-লেস্তে রাষ্ট্রনেতাদের সাথে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। রাষ্ট্রপতি জাকার্তায় শীর্ষ সম্মেলন শেষে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যাবেন। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।