আফ্রিকার দেশ গ্যাবনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো ওনদিম্বাকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তিনি চাইলে চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যেতে পারবেন। খবর আল-জাজিরার।
গ্যাবনের দুইবারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো। গত ২৭ আগস্ট দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কিত ওই নির্বাচনে ৩০ আগস্ট বঙ্গোকে পুনরায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই অভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশটির রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গ্যাবনের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল উলরিচ মানফৌউমবি এক বিবৃতিতে বলেন, শারীরিক অবস্থার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রজাতন্ত্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো ওনদিম্বাকে স্বাধীনভাবে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি যদি চান, চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যেতে পারবেন।
আফ্রিকার আরেক দেশ সেনেগালের রাজধানী ডাকার থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক নিকোলাস হক জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল বঙ্গোর। সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তিনি চিকিৎসা নিতে পারছিলেন না। তবে এখন তিনি চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যেতে পারবেন।
বঙ্গোর মুক্তির ঘোষণা দেওয়া ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন গ্যাবনের সেনাবাহিনীর জেনারেল ব্রিস ক্লোতাইরে ওলিগুই এনগুয়েমা। গত সোমবার দেশটির নতুন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। বঙ্গোর চাচাতো ভাই তিনি। বঙ্গোর প্রয়াত বাবার দেহরক্ষী হিসেবেও কাজ করেছেন এনগুয়েমা। এ ছাড়া গ্যাবনের সামরিক বাহিনীর অভিজাত ইউনিট রিপাবলিকান গার্ডের প্রধান ছিলেন তিনি।
সোমবার শপথ নেওয়ার পর জেনারেল এনগুয়েমা জানিয়েছিলেন, সামরিক বাহিনী কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের হাতে আবার ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলকে গ্যাবনে অনেকেই স্বাগত জানালেও এর নিন্দা জানিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।