বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন। যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক অস্থিরতায় বিপর্যস্ত বিশ্বে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো এ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে এ সম্মেলন শুরু হয়। ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ, দ্য আর্থ সোসাইটি, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট যৌথভাবে এ আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আঞ্চলিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ এর বিস্তারিত তুলে ধরেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারপারসন ও সংসদ সদস্য তানভির শাকিল জয় ও আহ্বায়ক সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক।
তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকগণ, কর্পোরেট সেক্টর, উন্নয়ন সহযোগী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়েছেন। সম্মেলনে ৪টি থিমেটিক সেগমেন্ট ও ১৯টি সেশনে আলোচক (প্যানেলিস্ট) হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন ১২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এছাড়াও দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ৬০০ জন প্রতিনিধি সরাসরি এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
প্রথম দিনের সেশনে জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন অর্জনের জন্য টেকসই পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় শাসনকে শক্তিশালী করা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য জলবায়ু প্রভাব, ক্ষয়ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজনসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্যানেলিস্টরা আলোচনা করবেন।
প্রথম দিনের তিনটি সেশনের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। পরবর্তী সেশনে আলোচনা করবেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, ভারতের ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্য ও সংসদ সদস্য মিস আগাথা সাংগমা, ওয়াটার এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস হাসিনা জাহান, বিদ্যুৎপ্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিসিএডি) পরিচালক অধ্যাপক সালিমুল হকসহ অনেকে।
এই আয়োজনের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট আছেন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা মিলিয়ে মোট ২২টি প্রতিষ্ঠান।