ভারতীয় প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক গীতা মেহতা আর নেই। গতকাল শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিজের বাসভবনে বার্ধক্যজনিত রোগে তাঁর মৃত্যু হয়। গীতা মেহতার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি ভারতের ওডিশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বড় বোন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
১৯৭০–৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসির যুদ্ধ সংবাদদাতা ছিলেন গীতা মেহতা। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের মতো ঐতিহাসিক ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন তিনি।
গীতা মেহতার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে, ‘কারমা কোলা: মার্কেটিং দ্য মিস্টিং ইস্ট’, ‘স্নেকস অ্যান্ড ল্যাডার্স’, ‘আ রিভার সুত্রা’, ‘রাজ’ ও ‘দ্য ইটারনাল গনেশা’। ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এসব লেখনীর মাধ্যমেই গীতা মেহতা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
সাহিত্য ও শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে ভারত সরকার গীতা মেহতাকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসমারিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত করে। তবে গীতা মেহতা সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানান। কারণ, হিসেবে ওই বছরে লোকসভা নির্বাচনের কথা বলেন তিনি।
গীতা মেহতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মোদি লিখেছেন, প্রখ্যাত লেখক গীতা মেহতার মৃত্যুতে আমি শোকাহত। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার পাশাপাশি লেখালেখি আর চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর আগ্রহের জন্য পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি।
১৯৪৩ সালে দিল্লিতে জন্ম তাঁর। তাঁর বাবা ভারতীয় রাজনীতিক ও ওডিশার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়েক এবং মা জ্ঞান পট্টনায়েক। গীতা মেহতা প্রথমে ভারতে, পরে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।