উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর ‘রক্তের শপথে হই বলিয়ান’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সম্পাদিত রক্তের শপথে হই বলিয়ান গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) বিকেলে শহরের সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গণে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

universel cardiac hospital

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবির) মহাপরিচালক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুর হত্যা তদন্ত কমিশন করার কথা বলা হয়। কিন্তু বাস্তবে সে তদন্ত কমিটি করা খুব কঠিন। কারণ শস্যের মধ্যেই ভূত রয়ে গেছে। যে কারণে আজও সেগুলো করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু সাংবাদিক হিসেবে আমার দায়িত্ব রয়েছে। কারণ এই তথ্য সংগ্রহ করার দায়িত্ব আমাদেরও বর্তায়।

জাফর ওয়াজেদ আরও বলেন, সরকার কি করল, আওয়ামীলীগ কি করল, সেটি ভেবে সময়ক্ষেপণ করার সুযোগ নেই। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যার সকল ঘটনা উদঘাটন করা। সেই সময়ে সবচেয়ে জঘন্য কাজ করেছে সংবাদপত্রগুলো। যদি ১৯৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত দেখা হয়, তাহলে দেখা যাবে কি নেতিবাচক রিপোর্ট করা হতো। সেই সময়ে তাহের উদ্দিন ঠাকুর বলেছিলেন ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের ছবি যদি বেশি-বেশি ছাপা হয় তাহলে বিদেশি সহযোগিতা পাওয়া যাবে। সেজন্য তারা ছবি তৈরি করে ছাপিয়েছিলেন। কিন্তু বিদেশি কোনো সাহায্য আসেনি। সেখান থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, শত্রুদের যদি আরেকবার যুদ্ধে পরাজিত করতে না পারি তাহলে আমাদের অতীত বিলীন হয়ে যাবে। সেজন্য আমাদের অনেক কিছুই করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সম্পাদকের বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে এখন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। তারা যে কথা বলেন, সে কথা যদি মানতে হয় তাহলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে এসে জয়ী হয়ে নিজের মত কাজ করবেন।

তিনি বলেন, আজকে যে শান্তি ও সমৃদ্ধির দেশ গড়ে উঠেছে এটিকে নষ্ট করার জন্য চক্রান্ত চলছে। সেই চক্রান্তকে নষ্ট করে দিতে হবে। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও মাউশি’র সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, আজকে এই বই প্রকাশ হওয়াতে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী গর্বিত। এখনো আমরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ঝনঝনানি আমরা দেখতে পাই। আমাদের দীপ্ত শপথ নিতে হবে সেই অন্যায় অবিচার এবং ষড়যন্ত্রকে প্রতিরোধ করব এবং সামনে এগিয়ে যাব।

অনুষ্ঠানে প্রস্তাব ও আলোচনাটি সবাইকে পড়িয়ে শোনান বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জনাব মীর বরকত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সাধারণ মানুষে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন