একটি অন্ধকার ঘর। মেঝেতে আঁকা কিছু নকশা। চারপাশে বেশকিছু মোমবাতি। তান্ত্রিক বেশে হাত উঁচু করে মন্ত্র পাঠ করছেন জওহরলাল। সঙ্গে একটি পুরোনো ট্রাঙ্ক খুলেতার ভেতর থেকে মাথার খুলি, কয়েকটি হাড়সহ কিছু জিনিসপত্র বের করে মেঝেতে রাখছেন।
তবে তিনি ঠিক কী করছেন, প্রথম দেখায় কেউ অনুমান করতে পারবে না। এই জওহরলালের বয়স নাকি ৩০০ বছর! ২০০ বছর সাধনার পর তিনি এক শিষ্য খুঁজেপান, যাঁর বয়স ১০০ বছর। নাম তাঁর মোহনলাল।
ঘটনা পরিক্রমায় কয়েকদিনের ব্যবধানে বেশ কয়েকজন মেয়ে হারিয়ে যায়। যাদের মৃতদের পাওয়া গেছে, তাদের কপালে একটি নকশা আঁকা থাকে। হঠাৎ শহর থেকে অর্পা নামেএক মেয়ে হারিয়ে যায়। তাকে খুঁজতে গিয়ে বের হয় এক অজানা রহস্য। তান্ত্রিকের মেঝেতে আঁকা নকশার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় মৃত মেয়েদের কপালে আঁকা নকশার। এসবের মধ্যে কী এমন যোগসূত্র আছে– এমনই এক রহস্যময় গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘জওহরলালের ডায়েরি’।
অনুপম দাসের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন জামাল মল্লিক। এতে জওহরলালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন গুণী অভিনেতা গাজী রাকায়েত। তাঁর শিষ্য মোহনলালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আব্দুন নূর সজল।