প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের কাছে ৩০০ বিচারক চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য এ সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তবে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য সিইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
বুধবার (১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে সহযোগিতা চান সিইসি। সুপ্রিম কোর্ট কার্যালয়ে প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় এ বৈঠক হয়।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সিইসি হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মূলত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের পর তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দন জানিয়েছি। সেই সঙ্গে শুধু একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিচারকরা ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। আগামী ডিসেম্বরে আদালতে অবকাশ থাকবে। সে সময়ে অধস্তন আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা যেন দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে বিষয়টি প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছি। তিনি আমাদের বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
সিইসি বলেন, প্রধান বিচারপতি তাদের যথেষ্ট সময় দিয়েছেন এবং সৌজন্য বিনিময় করেছেন।
তপশিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন শেষে গেজেট হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি পর্যবেক্ষণ করে। এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় নির্বাচন কমিশন। ওই কমিটিতে সারাদেশে সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের বিচারকরা দায়িত্ব পালন করেন। সিইসি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে জানিয়ে রেখেছি, যাতে ডিসেম্বর মাসে ওনারা (বিচারকরা) দায়িত্ব পালন করেন। আর জানুয়ারি মাসে আগের মতোই দায়িত্ব পালন করবেন।’ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এমন কোনো আলোচনা হয়নি।
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম এবং যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মাহবুবার রহমান সরকার। বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে ১২২টি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ে এসব কমিটি করা হয়।