গাজার প্রধান হাসপাতাল বন্ধ

মত ও পথ ডেস্ক

গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলা। সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযানে এখন হাসপাতালগুলো নিশানায় পরিণত হয়েছে। চারটি হাসপাতাল ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। জ্বালানি না পেয়ে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার সবচেয়ে বড় আল-শিফা হাসপাতাল। হাসপাতালটি খালি করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে ইসরায়েলের ৩৬ দিনের নির্বিচার হামলায় গাজায় ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্সের।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় আল-শিফা হাসপাতালের কার্যক্রম গতকাল শনিবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এতে ইনকিউবেটরে থাকা ৪৫ নবজাতকের একজন মারা গেছে। এর আগে আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলায় ১৩ জন নিহত হন।

universel cardiac hospital

টেলিফোনে রয়টার্সকে আশরাফ আল-কুদরা বলেন, পরিস্থিতি যে কারও ধারণার চেয়ে ভয়াবহ। আল-শিফা হাসপাতাল কমপ্লেক্সে আমরা অবরুদ্ধ হয়ে আছি। দখলদার বাহিনী কমপ্লেক্সের ভেতরের বেশির ভাগ ভবনে হামলা চালিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার আল-রানতিসি শিশু হাসপাতালসহ চারটি হাসপাতাল ঘিরে ফেলে ইসরায়েলি ট্যাংক। রানতিসি হাসপাতালের জানালা দিয়ে চত্বরে ইসরায়েলি ট্যাংক দেখা যাচ্ছিল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার ১৩৫টি স্বাস্থ্য স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জ্বালানিসংকট ও হামলার কারণে এখন পর্যন্ত ২১টি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। ৪৭টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রও বন্ধ রয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় ১৯৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৫৩টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

শেয়ার করুন