ঢাকার মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে আজ রোববার বেলা সোয়া একটার দিকে যেখানে বাসে আগুন দেওয়া হয়, তার কাছেই চলছিল আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ। ওই এলাকায় পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তাও ছিল। এর মধ্যেই বাসে আগুন দিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় সেখানে উপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিস্মিত হয়েছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার বলেন, সমাবেশে তিনি বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। এমন সময় দেখেন বাসে আগুন জ্বলে উঠছে। আগুন নেভাতে গিয়ে তার হাতে আঘাত লেগেছে।
আগুন দেওয়া হয়েছে প্রজাপতি পরিবহনের একটি বাসে। বাসটি আবদুল্লাহপুর থেকে এসে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর হয়ে মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি যখন ১০ নম্বর গোলচত্বর পেরিয়ে ১ নম্বর সেকশনে যাওয়ার রাস্তার মুখে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছিল, তখনই আগুন জ্বলে ওঠে। আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলছিল কিছুটা দূরে শাহ আলী প্লাজার পাশে।
বাসটি যেখানে আগুনে পুড়ছিল, তার একেবারে কাছেই মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের সড়কদ্বীপে তৈরি ট্রাফিক পুলিশের একটি কার্যালয়। সেখানে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি থাকে। এদিকে আজ সকাল থেকে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন বলেন, প্রজাপতি পরিবহনের ওই বাসে প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীবেশে বাসে উঠে পেছনের দিকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তিনি বলেন, আগুন লাগার পর বাসের যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে বাস থেকে নেমে যান। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিসংযোগকারীকে শনাক্ত করা যায়নি।
বিএনপির ডাকা দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগে গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীতে ছয়টি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।