বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশ ও দেশের জন্য প্রয়োজনে বাবার মতো রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।’
শনিবার কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব বলেন তিনি। জনসভার আয়োজন করে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। আমাদের চাওয়া একটাই, এ দেশের মানুষ ভালো থাকবে। আমরা চাই, এই দেশ আরও সুন্দর হোক, আরও উন্নত হোক। আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আর অন্য একটি দল আছে এরা মানুষের সম্পদ লুটে খায়, এরা খুন-হত্যা, বোমাবাজি, গ্রেনেড হামলা, চোরাকারবারি, অস্ত্র চোরাকারবারি করে। এ দলটা মানুষের জন্য কাজ করতে পারে না।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। তার আদর্শ অনুসরণ করে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করেছি। উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকেই জয়ী করতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে বিএনপি করে ধ্বংস। তারা ধ্বংসই করতে জানে, জনগণের কল্যাণ করতে জানে না। এদের কাছ থেকে জনগণকে সাবধান থাকতে হবে। তারা দেশের মানুষের ভালো চায় না। এদের কোনো মনুষ্যত্ব নেই। যদি মনুষ্যত্ববোধ থাকতো তাহলে দেশের জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করছে। গাড়িঘোড়া পুড়িয়ে দিচ্ছে। আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা দেশে সম্পদ পুড়িয়ে নষ্ট করা এটাই হলো বিএনপির কাজ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। দেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল বলেই বাংলাদেশ বদলে গেছে। আমরা মানুষের সেবা করতে চাই। আগামীতেও মানুষের সেবা করতে এবং সরকারের যে কাজগুলো বাকি আছে, সেগুলো করতে নৌকা মার্কায় ভোট চান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাবা-মা-ভাই সব হারিয়েছে। আমার হারাবার ও চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। শুধু একটাই চাওয়া বাংলাদেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, সেটাই করে যাচ্ছি।